তৃণমূল-বিজেপি আগেই লক্ষ্য স্থির করেছে, এবার সিপিএম স্পষ্ট করল ২০১৯-এর টার্গেট
লোকসভা নির্বাচন আসন্ন প্রায়। এতদিন নিশ্চুপ ছিল বাম ও কংগ্রেস। কংগ্রেস এখনও টার্গেট নিয়ে স্পিকটি নট থাকলেন নয়া লক্ষ্য স্থির করে ফেলল বামফ্রন্ট।
লোকসভা নির্বাচন আসন্ন প্রায়। তবে তার অনেক আগেই রাজ্যের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল তৃণমূল ও বিজেপি তাঁদের টার্গেট জানিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের লক্ষ্য ৪২-এ ৪২। আর বিজেপির টার্গেট ২৩টি আসনে জয়লাভ। এই অবস্থায় এতদিন নিশ্চুপ ছিল বাম ও কংগ্রেস। কংগ্রেস এখনও টার্গেট নিয়ে স্পিকটি নট থাকলেন নয়া লক্ষ্য স্থির করে ফেলল বামফ্রন্ট।
সিপিএমের টার্গেট
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সম্প্রতি জানান, তাঁরা অন্তত ২২টি আসনে থার্ড বা ফোর্থ কিংবা ফিফথ হবে না। রাজ্যের ৪২টির মধ্যে ২২টি আসনে তাঁরা এক বা দুইয়ে থাকবেন বলেই পরোক্ষে লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিলেন বিমান বসু। রায়গঞ্জে দলীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
কটাক্ষ বিজেপি ও তৃণমূলকে
বিমান বসু সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, বামেরা কখনই তৃতীয় বা চতুর্থ হওয়ার জন্য লড়াই করে না। আর ২২টি আসনও যে তাঁদের হবে না, তা তাঁরা জানেন। তবে অন্তত ২২টি আসনে তাঁরা এক ও দুইয়ের জন্য লড়াই করবেন। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু প্রকারান্তকে কটাক্ষ করেন বিজেপি ও তৃণমূলের টার্গেটকে।
সমাঝোতার ভিত্তিতে রফার পক্ষে বিমান
বিমান বসু বলেন, তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়তে চান ঠিকই, কিন্তু তার জন্য কংগ্রেসকেও স্বার্থত্যাগ করতে হবে। তবেই সমাঝোতার ভিত্তিতে আসনরফা হবে। রায়গঞ্জ সিপিএমের জেতা আসন, সেই আসনটি কংগ্রেস চাইছে, সিপিএমের জেবা আসন অন্যকে ছেড়ে দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। তাঁর কথায় স্পষ্ট, রায়গঞ্জ আসনে তাঁরাই প্রার্থী দেবেন।
সম্মানজনক শর্তের সওয়াল সোমেনের
আর বিমানের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সোমেন পাল্টা দেন, সিপিএমের কথা হচ্ছে- ছেলে হবে কি মেয়ে হবে জানি না, আগে থেকে নাম রেখে বসলাম। আমরা সম্মানজনক শর্ত চাই। তা না হলে আমরা ৪২টি আসনেই লড়াই করব। বিমান বসু বলেন, আসন সমাঝোতার ভিত্তিতেই আমরা রায়গঞ্জে প্রার্থী দেব। যদিও কংগ্রেস দাবি করছে, রায়গঞ্জে লড়াই করবে কংগ্রেসই।