ভাঙড় কাণ্ডের প্রতিবাদে বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন চলাকালীন বাম-বিক্ষোভ, মিলন মেলার বাইরে ধুন্ধুমার
মিলন মেলার সামনে বামেদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল শুক্রবার। ভাঙড়কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বামেরা। বিক্ষোভ হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়।
কলকাতা, ২০ জানুয়ারি : মিলন মেলার সামনে বামেদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল শুক্রবার। ভাঙড়কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বামেরা। বিক্ষোভ হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাম নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। সুজন চক্রবর্তী, নেপালদেব ভট্টাচার্য ও ঋতব্রত ভট্টাচার্যদের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল। পুলিশ এই ঘটনায় গ্রেফতার করে বাম নেতৃত্বকে।
সুজন চক্রবর্তী-সহ বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, শিল্প সম্মেলনের নামে টাকা অপচয় হচ্ছে। ভাঙড়কাণ্ড নিয়ে এখনও কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারেনি রাজ্য সরকার। শিল্প নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই এই সরকারের। সিঙ্গুর থেকে শিল্প বিদায় নিয়েছে বর্তমান শাসকদলের আন্দোলনের ফলে। এখন ভাঙড়ের বুকে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
ভাঙড়ের মানুষ কোনও রাজনৈতিক দলের সাহায্য ছাড়াই পুলিশ প্রশাসনকে রুখে দিয়েছে। ভাঙড়ের মানুষের সেই জমি আন্দোলনকেই হাতিয়ার করে রাজ্যে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে তৎপর বামেরা। ভাঙঢ়ের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন সুজনরা। সিজিও কমপ্লেক্সে সভা করে শক্তি প্রদর্শনের পাশাপাশি বামেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভাঙড়ের প্রতিবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হবে রাজ্যের সর্বত্র।
সেই আঙ্গিকেই এদিন মিলন মেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করে বামফ্রন্ট। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন সুজন চক্রবর্তী, নেপালদেব ভট্টাচার্য ও ঋতব্রত ভট্টাচার্যরা। মিলন মেলায় এদিন বিদেশি অভ্যাগতরা এসেছিলেন। শুরু হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ৩০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত। মমতার সরকার যখন রাজ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য সচেষ্ট তখন বামেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তা পণ্ড করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বামেদের এই আন্দোলনের তাই কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজনৈতিক শিষ্টাচারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে বামেরা। বাইরের অতিথিদের সামনেও তাঁরা নোংরা রাজনীতি করতে ছাড়ছে না। এটা খারাপ দৃষ্টান্ত রাজ্যের জন্য।