অসম্পূর্ণই রয়ে গেল বিজেপি বিরোধী ইউনাইডেট ইন্ডিয়া! সমাবেশ এড়াল যেসব দল
বিজেপি বিরোধী ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার ছবিটা কিন্তু অসম্পূর্ণই থেকে গেল। এদিনের সভায় আমন্ত্রণ পেলেও হাজির হয়নি প্রতিবেশী ওড়িশার শাসকদল বিজেডি এবং তেলেঙ্গানার শাসক টিআরএস।
বিজেপি বিরোধী ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার ছবিটা কিন্তু অসম্পূর্ণই থেকে গেল। এদিনের সভায় আমন্ত্রণ পেলেও হাজির হয়নি প্রতিবেশী ওড়িশার শাসকদল বিজেডি এবং তেলেঙ্গানার শাসক টিআরএস। সভায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকছেন, তাই তারা হাজির হচ্ছেন না, জানানো হয়েছে দুই দলের তরফে।
দেশের প্রায় সব রাজ্য থেকে হাজির সেইসব রাজ্যের আঞ্চলিকদলগুলি। যাদের বেশিরভাগের জন্ম হয়েছিল কংগ্রেস বিরোধিতা করে। এদিনের সভায় দেখা যায়নি ওড়িশার বিজেডি এবং তেলেঙ্গানার টিআরএস-এর কোনও প্রতিনিধিকে। এনডিএ-র বিরোধিতা করা এই দুইদল হাজির না হওয়ায় বিজেপি বিরোধী ইউনাউটেড ইন্ডিয়ার চিত্রটাও পরিষ্কার হয়নি।
শুক্রবার বিকেল এবং শনিবার মিলিয়ে কলকাতায় হাজির হয়েছিলেন লোকতান্ত্রিক জনতাদলের শারদ যাদব, এনসিপি-র শারদ পাওয়ার, এসপির অখিলেশ যাদব, বিএসপির সতীশ মিশ্র, টিডিপির চন্দ্রবাবু নাইডু, ডিএমকে-র এমকে স্ট্যালিন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া, এবং তাঁর ছেলে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, কংগ্রেসের তরফে মল্লিকার্জুন খার্গে, অভিষেক মনু সিংভি, আপের তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ন্যাশনাল কনফারেন্সের তরফে ফারুক আবদুল্লা এবং তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা। ছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেনও। ছিলেন বিজেপি ত্যাগী বিক্ষুব্ধ হিসেবে পরিচিত যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহা, অরুণ শৌরি।
তবে সমাবেশে সব থেকে মাত্রা পায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া রাহুল গান্ধীর চিঠি। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে নিজের ভাষণে সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর কথা উল্লেখ করেন।
তবে ওড়িশার বিজু জনতা দল এবং তেলেঙ্গানার তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি জানিয়ে দেয় সমাবেশে কংগ্রেসের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকায় তাদের পক্ষে সমাবেশে যোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিজেপি এবং কংগ্রেস, উভয়ের থেকেই তারা সমদূরত্ব বজায় রাখতে চায় বলেও জানিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিজেডির মুখপত্র প্রতাপকেশরী দেব জানিয়েছেন, নিজেদের রাজ্যের উন্নয়নের দিকেই তারা লক্ষ্য দিতে চান।
ফলে দেশব্যাপী নেতারা বিজেপি বিরোধী সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন দাবি করা হলেও, একটু খুঁত যেন রয়েই গেল। লোকসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপি বিরোধী ইউনাইটেড ইন্ডিয়া কতটা শক্তিশালী হয়, এখন সেটাই দেখার।