চিঠি পাঠিয়ে সিআইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন লক্ষ্মণ শেঠ, কী লিখলেন চিঠিতে
কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য দফতরের অধীনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার আপগ্রেডেশন স্কিম অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল এলাকার উন্নয়নের জন্য। সেই টাকা লক্ষ্মণ শেঠ সঠিক পথে খরচ করেননি বলে অভিযোগ।
আইকেয়ার দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলা ফয়সালা না হলে সিআইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না লক্ষ্মণ শেঠ। স্রেফ আইনজীবী মারফৎ চিঠি পাঠিয়ে হাজিরা এড়ালেন তিনি। সোমবার ভবানী ভবনে চিঠি দিয়ে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা লক্ষ্মণ শেঠ জানান, হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার রায় না বেরোলে তিনি সিআইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না।
সিআইডি এদিন লক্ষ্মণ শেঠকে ভবানী ভবনে তলব করেছিল। আর্থিক অনিময় ও দুর্নীতি মামলায় জেরা করার জন্য বেলা ১১টা তাঁকে সিআইডি দফতরে তলব করা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি কোটি টাকার দুর্নীতি করেন বলে অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য দফতরের অধীনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার আপগ্রেডেশন স্কিম অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল এলাকার উন্নয়নের জন্য। লক্ষ্মণ শেঠের সংস্থা আইকেয়ার সেই স্কিম অনুযায়ী ১০ কোটি ২৫ হাজার টাকার বরাত পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা তিনি সঠিক পথে খরচ করেননি বলে অভিযোগ।
২০১৩ সালে আইকেয়ার সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসবঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। সিআইডি তদন্ত শুরু করে। এই মামলাতে জেরার জন্যই লক্ষ্মণ শেঠকে তলব করা হয়েছিল।