জিডি বিড়লা স্কুলের ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল লালবাজার, মামলার অনুমতি হাইকোর্টের
জিডি বিড়লা স্কুলের ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল লালবাজার। লালবজারের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে এই ঘটনার তদন্ত করবে। যাদবপুর থানা থেকে মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংগ্রহের পরই শুরু হবে তদন্তের কাজ।
জিডি বিড়লা স্কুলের ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল লালবাজার। লালাবজারের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে এই ঘটনার তদন্ত করবে। যাদবপুর থানা থেকে মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংগ্রহের পরই শুরু হবে তদন্তের কাজ।
জিডি বিড়লা স্কুলে শিশুকে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় রবিবার দ্বিতীয় এফআইআরটি করেন শিশুটির বাবা। অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ১২০-বি( অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ২০১ (প্রমাণ লোপাট) এবং পসকো আইনের ২১ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে। সেই দ্বিতীয় মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে লালবাজার। দ্রুত অধ্যক্ষাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু করা হবে বলে সূত্রের খবর। অধ্যক্ষাকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
এর আগে জিডি বিড়লা স্কুলের ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অপর একটি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছিল লালবাজারের ওমেন্স গ্রিভান্স সেলের হাতে।
অধ্যক্ষা শর্মিলা নাথের দেওয়া বিবৃতিতেই ক্ষোভ ছড়ায় অভিভাবকদের মধ্যে। তিনি বলেছিলেন, ঘটনার দিন, সুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। অন্যদিকে, শিশুটির পরিবার যখন শ্রেণি শিক্ষক কিংবা অধ্যক্ষার সঙ্গে কথা বলেন, তখন তাঁরা বলেন, শিশুটি বানিয়ে বলছে। এই মন্তব্যের জেরেই ক্ষোভ বাড়ে অভিভাবকদের মধ্যে। অপরাধ ধামা চাপা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।
সোমবার রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলে যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী এবং সদস্য সৌমিত্র রায়। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। নোটিশ ছাড়া স্কুল বন্ধ করার বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার জিডি বিড়লা সংক্রান্ত একটি আবেদন ওঠে হাইকোর্টে। বিষয়টিতে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চান এক আইনজীবী। হাইকোর্টের তরফে জিডি বিড়লা নিয়ে ওই আইনজীবীকে মামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।