নামেই আইন অমান্য কর্মসূচি বিজেপির, মূর্তি ভাঙার চাপানউতোরে রণক্ষেত্র লালবাজার
বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার-কাণ্ড ঘটে গেল লালবাজারে। বিজেপি কর্মীদের রুখতে আগে থেকে ব্যারিকেড গড়া হলেও বিশৃঙ্খলা রুখতে পারল না পুলিশ।
বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার-কাণ্ড ঘটে গেল লালবাজারে। বিজেপি কর্মীদের রুখতে আগে থেকে ব্যারিকেড গড়া হলেও বিশৃঙ্খলা রুখতে পারল না পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। আক্রান্ত হল বিজেপি কর্মীরা। উল্টেদিকে আবির ছুড়ে পুলিশকে রোখার চেষ্টা করা হয়।
[আরও পড়ুন:মহাপুরুষদের অপমান করা শিখিয়েছে 'লেনিনের বাচ্চা'রা, কু-কথার বাণ ছাড়লেন দিলীপ]
ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি মহিলা কর্মীরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। বুধবার মুরলিধর লেনে দলের সদর দফতর থেকে মিছিল করে লালবাজার অভিযান করে বিজেপি। গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে বিজেপির মিছিল রুখে দেয় পুলিশ। তারপরই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন:মমতায় সম্পূর্ণ আস্থা সোনিয়ার, বাংলার নেত্রীর 'সাড়া'য় নয়া সমীকরণের জল্পনা দিল্লিতে]
পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল রোখার সমস্ত ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু হঠাৎই নজর এড়িয়ে কয়েকজন মহিলা কর্মী ঢুকে পড়েন লালবাজারে। বিজেপি পরিকল্পিতভাবেই এই আইন অমান্যের পরিকল্পনা করেছিল। নারী দিবসের প্রাক্কালে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এই আইন অমান্যের কর্মসূচি নেওয়া হয়। রাজ্য নারী নির্যাতনে প্রথম বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা।
এদিন আইন অমান্য কর্মসূচি আদতে ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়। মুকুল রায় সেই কারণেই মনে করিয়ে দেন, এটা ত্রিপুরার ফলাফলের আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তাই এটা বিজয় মিছিলও নয়, বিজয়োৎসবও নয়। এটা রাজ্যের পুলিশ রাজের সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। কিন্তু তা রূপ নেয় লেনিন ও শ্যামাপ্রসাদ মুর্তি ভাঙার প্রতিবাদ, পাল্টা প্রতিবাদ আন্দোলনে।
[আরও পড়ুন: সারদাকাণ্ডে বিশেষ 'ছাড়' কুণালকে, আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে নিজেই করলেন সওয়াল]