মমতা সেরার সেরা, বুদ্ধদেব ডাহা ফেল! কোন মুখ্যমন্ত্রীকে কত নম্বর দিলেন লক্ষ্মণ
তিনি সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। তাঁর নামে এক ঘাটে বাঘে-বলদে জল খেত। হলদিয়ার বেতাজ বাদশা কিংবা হলদিয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তাঁর খ্যাতি ছিল সর্বজনবিদিত।
তিনি সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। তাঁর নামে এক ঘাটে বাঘে-বলদে জল খেত। হলদিয়ার বেতাজ বাদশা কিংবা হলদিয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তাঁর খ্যাতি ছিল সর্বজনবিদিত। এহেন লক্ষ্মণ শেঠই এখন দলহীন। খুঁজে চলেছেন রাজনীতির নতুন ঠিকানা। এই পরিস্থিতিতেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে এগিয়ে রাখছেন তিনি।
মমতা অনেক এগিয়ে
লক্ষ্মণ শেঠের মতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের থেকে। নম্বর দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কত এগিয়ে। একশোর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি ৯০ নম্বর দিতে চান। তাঁর মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিচ্ছেন কী করে উন্নয়নমূলক কাজ করতে হয়। এই ব্যাপারে তাঁর ধারে কাছে আসবে না কেউ
বুদ্ধদেব ডাহা ফেল
আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একেবারে ফেল বলে মনে করেন লক্ষ্মণ শেঠ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ৯০ পান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ১০ নম্বরের বেশি পাবেন না। একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুদ্ধদেব কিছুই করতে পারেননি। তাঁকে পাস নম্বর তো দেওয়া যাবেই না, একেবারে ডাহা ফেল করিয়ে দিলেন লক্ষ্মণ শেঠ।
জ্যোতি বসু আদর্শ
তবে লক্ষ্মণ শেঠ মনে করেন, জ্যোতি বসু মুখ্যমন্রীরই হিসেবে আদর্শ ছিলেন। তাঁর চাল-চলন, কথাবার্তা মুখ্যমন্ত্রী সুলভ। কখনও তাঁকে রেগে যেতে দেখিনি। তিনি একেবারে আদর্শ মুখ্যমন্ত্রীর মতো সবদিক সামলেছেন। পরবর্তী সময়ে সিপিএমে নেতৃ্ত্বেরই অভাব হয়ে গেল। যার ফলে আজ প্রাসঙ্গিকতা হারাতে হয়েছে।
লক্ষ্মণ শেঠ উন্নয়নপন্থী
এ প্রসঙ্গেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি তাহলে কোন পন্থী? তিনি কি এখনও বামপন্থী, নাকি তিনি দক্ষিণপন্থী? লক্ষ্মণ শেঠ বলেন, আমি উন্নয়নপন্থী। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বামপন্থী, দক্ষিণপন্থী বলে কিছু হয় না। আমি আজ আর তাই বামপন্থী নই, আমি উন্নয়নপন্থী। তিনি এই কথার মাধ্যমে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিই তাঁর সমর্থন বার্তা দিয়ে রাখেন।