'দলকে কোনও ভাবে টানবেন না', হাত জড়ো করে বার্তা কুন্তলের! ডায়েরি নিয়েও করলেন ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য
ওই ডায়েরি আমার নয়! আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ে এমনটাই দাবি করলেন ধৃত কুন্তল ঘোষ।
ওই ডায়েরি আমার নয়! আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ে এমনটাই দাবি করলেন ধৃত কুন্তল ঘোষ। অন্যদিকে ধৃত যুবনেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্যে এদিন আদালতের কাছে আবেদন জানায় ইডি। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত কুন্তলের ইডির আবেদন অনুযায়ী ১৪ দিনের হেফাজতে পাঠানোরই নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ আগামী ৩ রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইডির হেফাজতে থাকবেন কুন্তল।
আগামী কয়েকদিন একাধিক বিষয়ে তাঁকে জেরা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
বিশেষ করে বিপুল এই টাকা অর্থাৎ এই ৩০ কোটি টাকার উৎস কি? এই বিষয়ে জানতে চাইবেন ইডির আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, এই টাকার ভাগ কার কার কাছে গেছে সে বিষয়েও কুন্তলকে জেরা করে জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন বিপুল এই টাকা ঘুষ হিসাবে তৃণমূল নেতা নিলেও এর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী জড়িত রয়েছে বলেই মনে করছেন। আর তাঁরা কারা সেটাই কুন্তলকে জেরা করে বার করে আনার চেষ্টা ইডি আধিকারিকরা চালাবেন বলেই খবর।
অন্যদিকে কুন্তলের বাড়ি থেকে রহস্যময় একটি ডায়েরির খোঁজ পেয়েছেন আধিকারিকরা। বলে রাখা প্রয়োজন, শুক্রবার সকাল থেকেই কুন্তলের নিউ টাউনের একটি আবাসনের দুটি ফ্ল্যাটে দীর্ঘ তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। আর সেই তল্লাশিতে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর এর সঙ্গেই উদ্ধার করা হয় একটি ডায়েরি। যেখানে কোথায় কখন কার কাছে কত টাকা সমস্ত কিছু লেখা রয়েছে বলেই খবর। আর সেই ডায়েরিকেই এখন হাতিয়ার করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা আধিকারিকরা। আর সেই বিষয়ে নাম ধরে হয়তো কুন্তলকে জেরা করতে পারেন ইডির আধিকারিকরা।
যদিও এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে আসার সময় কুন্তলকে ওই ডায়েরির বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন সাংবাদিকরা। প্রশ্নের উত্তরে যুব তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ওই ডায়েরি আমার নয়। তাহলে প্রশ্ন উঠছে ওটা কার? যদিও এই বিষয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাশাপাশি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাত জড়ো করে তৃণমূল নেতার বার্তা, ''এই মামলায় আমার দলকে কোনও ভাবে যুক্ত করবে না''।
অন্যদিকে এদিন গোপাল দলপতি হিসাবে একজনের নাম শোনা যায় কুন্তলের মুখে। প্রয়োজনে তাঁকেও জেরা করতে পারে ইডির আধিকারিকরা। এমনকি তাপস মণ্ডল যার অভিযোগের ভিত্তিতেই কুন্তলের খোঁজ তাঁর মুখোমুখিও যুবনেতাকে বসাতে পারে ইডি।
অন্যদিকে উপেন বিশ্বাসের কথায় উঠে আসা চন্দনকেও এদিন জেরা করল সিবিআই। আজ সকাল থেকে ৬ ঘন্টা ধরে তাঁকে জেরা করা হয়েছে বলে খবর।