হঠাৎ সিবিআই দফতরে কুণাল! তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে উৎসবেও বিষাদের আবহ
সারদাকাণ্ডে বর্তমানে জামিনে মুক্ত কুণাল ঘোষ প্রতি মাসেই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন। সেইমতো ষষ্ঠীর দিন সিবিআই দফতরে এসেছিলেন। কিন্তু একদিনের মধ্যে ফের সিবিআই দফতরে কেন?
শারদ উৎসবের মধ্যে আচমকাই সিবিআই দফতরে হাজির তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষ। শুধু হাজিরাই দিলেন না, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করলেন তিনি। তাতেই জল্পনার পারদ চড়ল। তবে কি সিবিআইয়ের হাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি তুলে দিতেই বুধবার ফের তাঁর সিবিআই দফতরে আসা? তিনি এমন কী চাঞ্চল্যকর তথ্য পরিবেশন করে গেলেন, যাতে সমস্যায় পড়তে পারেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অন্দরে
সারদাকাণ্ডে বর্তমানে জামিনে মুক্ত কুণাল ঘোষ। প্রতি মাসেই তিনি নিয়ম করে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন। সেইমতো মঙ্গলবার ষষ্ঠীর দিন তিনি সিবিআই দফতরে এসেছিলেন। রুটিন হাজিরা দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ফের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে কেন? তাঁর পরপর দু-দিন হাজিরাতেই নানা প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিস থেকে বেরিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, '২০১৩ সালে আমার যে কী যন্ত্রণা হয়েছিল, তা পরে কেউ কেউ বুঝতে পেরেছিলেন। আগামী দিনে আবার কেউ কেউ বুঝতে পারবেন সেই কষ্ট।' তাঁর এই কথা ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পাল্টা তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কি বিশেষ কারও দিকে ইঙ্গিত করছেন? তৎক্ষণাৎ কুণাল ঘোষ বলেন, 'আমি কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছি না, কেবলমাত্র আমার দুঃখের কথা বলছি।'
তিনি দুঃখের কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও এই মন্তব্যের পিছনে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতির মহলের একাংশ। কেননা সারদাকাণ্ডে তাঁর গ্রেফতারি দিয়েই শুরু হয়েছিল তৃণমূলী সংযোগ। তারপর মদন মিত্র ও পরে রোজভ্যালিকাণ্ডে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পাল গ্রেফতার হন।
এখনও এই তালিকায় লম্বা লাইন থাকলেও, তাঁরা কেউ গ্রেফতার হননি। বা তাঁদের সবাইকে তলব করাও হয়নি। তাঁর কথায় এমন ইঙ্গিত এদিন পাওয়া যায়, ভবিষ্যতে তাঁরা কেউ কেউ গ্রেফতার হতে পারেন। এদিন একাধিক ফাইল নিয়ে কুণাল ঘোষ সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে সিবিআইকে বহু প্রমাণ্যই তিনি তুলে দেন। তা থেকেই নতুন করে জল্পনার সূত্রপাত।