
বিজেপির সভাপতি বাছাই নিয়ে তৃণমূলে তাপস-সুদীপ সংঘাত, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কুণাল
বিজেপির সভাপতি বাছাই নিয়ে তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক তাপস রায়ের মধ্যে সংঘাতপূর্ণ আবহ তৈরি হয়েছিল মঙ্গলবার। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলেছিলেন বিধায়ক তাপস রায়। তারপর এদিন তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে তাপস রায়ের বাড়িতে গেলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

তাপস রায়ের বাড়িতে গেলেন কুণাল ঘোষ
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে সুদীপ ঘনিষ্ঠ নেতার ছেলে জেলা সভাপতি হয়েছে। তা নিয়ে তৃণমূলের সংগঠনে অভ্যন্তরীণ কোন্দল দানা বেঁধেছে। এবার তা মেটাতে তড়িঘড়ি উদ্যোগী হল শাসক দল। ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতারা তাপল রায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সরাসরি বাড়িতে গেলেন তাপস রায়ের।

তাপসের বিদ্রোহ, ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় কুণাল
তাপস রায় বরাবর দলের শৃঙ্খলা মেনে চলেছেন। সম্প্রতি তার গলায় বারবার কেন বিদ্রোহের সুর শোনা যাচ্ছে, তা জানতে চায় তৃণমূল। সেজন্যই দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে পাঠানো হয়েছিল তাপস রায়ের বাড়িতে। তাপস রায় কী চাইছেন, কী তাঁর অভিযোগ, তা জেনেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় কুণাল।

তৃণমূলের প্রাক্তন ছাত্র নেতা বিজেপির সভাপতি, অন্তর্দ্বন্দ্ব
তৃণমূলের প্রাক্তন ছাত্র নেতা তমোঘ্ন ঘোষকে সম্প্রতি উত্তর কলকাতার সাংগঠনিক সভাপতি করে বিজেপি। তমোঘ্নের পরিবারের সঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের। তমোঘ্নের বাবা তপন ঘোষ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব। সেই কারণে তপন ঘোষের বাড়িতে দুর্গাপুজোয় গিয়েছিলেন। গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কল্যাণ চৌবেও। তারপরই তমোঘ্ন বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি হন। এবং তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে আসে।

তমোঘ্নই বিজেপির সভাপতি বনে যাওয়ার নেপথ্যে
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ নেতার ছেলে বিজেপির জেলা সভাপতি হওয়ার পর তাপস রায় বলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দলনেত্রীকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেন। তাঁর অভিযোগ, এই তমোঘ্নকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করার জন্য প্রস্তাব করেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই তমোঘ্নকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে গিয়ে টিএমসিপির সভাপতি করার আর্জি জানিয়েছিলেন। এখন সই তমোঘ্নই বিজেপির সভাপতি বনে গেলেন হঠাৎ করে, নেপথ্যে কী কারণ?

সুদীপ, শুভেন্দু ও কল্যাণের উপস্থিতি তমোঘ্নের বাড়িতে
তাপস রায়ের আরও অভিযোগ, তমোঘ্নের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। সেই দুর্গাপুজোয় গিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার শুভেন্দু অধিকারী ও কল্যাণ চৌবেও গিয়েছিলেন তমোঘ্নের বাড়িতে। তিনি বলেন, কে কার ব্যক্তিস্বার্থে কী করছে জানি না। অনেকেই একাধিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দলনেত্রীকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেন। সূত্রের খবর, কল্যাণ চৌবের জায়গায় উত্তর কলকাতা বিজেপির সভাপতি হওয়ার কথা ছিল সজল ঘোষের। কিন্তু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তমোঘ্নের বাড়িতে যাওয়ার পরই পাশা উল্টোদিকে ঘুরে যায় বলে অভিযোগ।

তমোঘ্নকে বিজেপিতে পাঠিয়েছেন সুদীপ, বলেছিলেন কুণাল
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আবার বলেন, বিজেপির নিয়োগ নিয়ে কোনও কথা বলব না। কিন্তু ও তো সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেঠু বলত। এরপর আদি বিজেপি নেতাদের থুতু ফেলে ডুবে মরা উচিত। তবে আমি মনে করি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তমোঘ্নকে বিজেপিতে পাঠিয়েছেন। সময় হলে আবার তাঁকে তুলে নেবেন।
কিংপিন মানিকের আমলেই ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ! কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ইডির