বিজেপির চাটার্ড ফ্লাইটে যোগদান মনে করিয়ে অটোয় ফেরার বার্তা দিলেন কুণাল
মনে আছে কো বিজেপিতে যোগদান মেলার কথা। রোজ মেলা হচ্ছে। তারপর সেই যোগদান মেলার তারকারা কোথায়?
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। প্রতিদিন নিয়ম করে যোগদান মেলা হচ্ছিল। আবারও পঞ্চায়েত ভোটের আগে যোগদান মেলা শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তারপরই কটাক্ষের সুর কুণাল ঘোষের গলায়।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল বা বিজেপি দুই দলের তরফেই ভাঙন জল্পনার বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে। বিজেপিও বলছে ৩০-৩৫ বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আর তৃণমূল পাল্টা দিয়েছে চলেছে, দরজা খুললেই বিজেপি শেষ।
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অনুব্রত-গড়ের দাপুটে নেতা বিপ্লব ওঝা। শুভেন্দুর হাত ধরে নলহাটির একটি অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। আর সোমবার ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অরিত্র চট্টোপাধ্যায়, সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দেন আইনজীবী শ্যামল সাহা।
কংগ্রেস থেকে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দেন সুদীপ্তা রায়চৌধুরী, আরও যোগ দেন ইঞ্জিনিয়র রাজীব নাথ রায়, ব্যাংকের এফডিআই পরামর্শদাতা রাজা মুখোপাধ্যায় ও স্যাফোলজিস্ট অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
এরপরই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যোগদান নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তিনি মনে করিয়ে দেন একুশের আগে চাটার্ড ফ্লাইটে করে যোগদানের কথা। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, মনে আছে কো বিজেপিতে যোগদান মেলার কথা। রোজ মেলা হচ্ছে। তারপর সেই যোগদান মেলার তারকারা কোথায়? প্রশ্নে তোলেন কুণাল।
কুণাল এরপর নিজেই জানান, বিজেপিতে যোগদান মেলায় চাটার্ড ফ্লাইটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর তাদের অটোয় ফিরতে হয়েছে। অতওব ওসব যোগদান মেলাটেলা করে কোনও লাভ হবে না। তাসের ঘরের মতো আবারও ভাঙবে বিজেপি। শুধু ক-দিন সবুর করুন। তারপরই ফের বিজেপিতে ভাঙন শুরু হবে।
সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একপ্রস্থ নাটক হয়ে গেল। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে দাবি তৃণমূলের। এমনকী একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। সেই বিতর্কিত ছবি ভাইরালও হয়ে যায়। অজিত মাইতির পাশের সোফায় বসে আছেন হিরণ। সেই ছবি ফটোশপে তৈরি করা হয়ে পাল্টা দাবি করা হয়। বেশ কয়েকদিন অন্তর্ধানের পর হিরণ বলেন, তিনি বিজেপিতে আছেন, বিজেপিতেই থাকবেন। পাল্টা তোপ জাগেন অজিত মাইতি। সেই বিতর্ক এখনও চলছে।