কুণাল হঠাৎ হাজির পার্থর বাড়িতে! সঙ্গে কে জেনে অবাক হবেন না, একেবারে মাস্টারস্ট্রোক
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হঠাৎ হাজির হলেন দলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। সঙ্গে কোচবিহার জেলা পরিষদের জয়ী নির্দল প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত বর্মন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হঠাৎ হাজির হলেন দলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। সঙ্গে কোচবিহার জেলা পরিষদের জয়ী নির্দল প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত বর্মন। তিনি তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। এবার তাঁর ঘরের ফেরার পালা। কুণাল ঘোষের হাত ধরে তিনি ফের দলের মূলস্রোতে ফিরতে আবেদন জানালেন মহাসচিবের কাছে।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে তিনি তৃণমূলে ফেরার আবেদন জানান। কিন্তু কুণাল ঘোষের হাত ধরে তিনি এলেন কেন? নির্দলের বিজয়ী এই প্রার্থী মনে করেন তিনি কুণাল ঘোষের এলাকা উন্নয়নরে তহবিলের টাকায় বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে জেলা নেতৃত্ব হয়তো টিকিট দিতে চায়নি।
তাঁর অভিযোগ, নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হওয়ার পর বিজেপির তরফ থেকেও অফার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি কোচবিহার জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি ছিলেন। এবারও দলের টিকিটে লড়তে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি। তা বলে তিনি দল ছাড়তে চাননি। এমনকী বিজেপির অফারের পরেও নয়।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের ফল বলছে জঙ্গলমহল আর হাসছে না, কিন্তু কেন ]
তাই তিনি যোগাযোগ করেন কুণাল ঘোষের সঙ্গে। কুণাল ঘোষ তাঁকে বিজেপিতে না গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার পরামর্শ দেন। বোঝান কেন তৃণমূলে ফেরাই তাঁর পক্ষে শ্রেয়। তিনি জানান, কোন পথে তিনি তৃণমূলে ফিরবেন, তা ঠিক করে দেন কুণালই। সেইমতো নির্দল সদস্য কৃষ্ণকান্ত বর্মনকে সঙ্গে করে সটান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে চলে আসেন কুণাল ঘোষ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সমস্ত শুনে বলেন জেতা প্রার্থী কেন অগ্রাধিকার পায়নি তা আমরা দেখব। ফের নির্দল হিসেবে জিতে তিনি দলের কাছে আবেদন করেছেন, তার আবেদনও আমরা বিবেচনা করব। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানাবো আমরা। এদিন কুণাল ঘোষকেও ধন্যবাদ দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কুণাল ঘোষ এদিন নির্দল প্রার্থীকে তৃণমূলে ফিরিয়ে প্রমাণ করে দিলেন, যে যাই বলুন তিনি সত্যিই তৃণমূলের শুভানুধ্যায়ী, তিনি প্রকৃত অর্থেই তৃণমূলী।
[আরও পড়ুন:বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে আসনরফাও সারা! কর্ণাটকে অক্সিজেন পেয়ে ছুটছে রাহুলের ঘোড়া ]
নির্দল প্রার্থী কৃষ্ণকান্তকে দলে ফিরিয়ে তিনি বলেন, কৃষ্ণ কাজের ছেলে। অতীতে আমি ওর কাজে সাধ্যমতো সাহায্য করেছি। আমি চাই, ওর মতো কাজের ছেলে দলে থেকে ভালোভাবে কাজ করুক। চাই, দলও পুরনো কর্মীদের যোগ্যতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাক। সেই ইচ্ছা নিয়েই কৃষ্ণকে দলের মহাসচিবের কাছে এনেছিলাম, এবার দল বুঝবে।