মহালয়ার একমাসও বাকি নেই, কুমোরটুলিতে ব্যস্ততা চরমে
আকাশে লেগেছে শরতের রঙ। কখনও জোরে বৃষ্টি, তো পরের মুহূর্তেই পরিষ্কার আকাশ। দুর্গাপুজো আসতে হাতে গোনা ৩৩-৩৪ দিন। এরই মধ্যে চূড়ান্ত ব্যস্ততা কুমোরটুলিতে
বন্যার জলে ভাসছে উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জায়গা। এরইমধ্যে আকাশে লেগেছে শরতের রঙ। কখনও জোরে বৃষ্টি, তো পরের মুহূর্তেই পরিষ্কার আকাশ। কখনও আকাশে সূর্যের দেখা মিললেও, পরের মুহূর্তেই মেঘলা আকাশ। এরই মধ্যে চূড়ান্ত ব্যস্ততা কুমোরটুলিতে।
দুর্গাপুজো আসতে হাতে গোনা ৩৩-৩৪ দিন। এরই মধ্যে রয়েছে গণেশ মূর্তি মণ্ডপে পাঠানোর ব্যস্ততা। আর রয়েছে বিশ্বকর্মা পুজো। সব কাজ চলছে একইসঙ্গে।
কেউ প্রতিমার মাটির শুকানোর অপেক্ষায় আছেন তো, কেউ আবার পুরো দুর্গা প্রতিমা নিয়েই ব্যস্ত। এখনও যে অনেক কাজ বাকি। যাঁরা একটু এগোতে পেরেছেন, তাঁরা প্রতিমার গায়ে সাদা রঙের প্রলেপ দিতে শুরু করেছেন। আর যাঁরা পারেননি তাঁরা স্টোভ জ্বালিয়ে প্রতিমার মুখ ও আঙুল শুকানোর চেষ্টায় রয়েছেন। এই কাজ একটু এগিয়ে গেলেই প্রতিমাকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
এই সপ্তাহে গণেশ পুজো হয়ে গেলে কিছুটা স্বস্তি পাবেন শিল্পীরা। কেননা স্টুডিওয় কাজ করার জায়গাটা বাড়বে। একসময়ে মহালয়ার পূণ্যতিথিতেই প্রতিমার চোখ আঁকার কাজ হত। এখন সেসব আর হয় না। মহালয়া থেকেই প্রতিমা মণ্ডপ মুখী হয়, আর মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরোন তৃতীয়া কিংবা চতুর্থী থেকে।
প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততার মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে ভিড়ের সঙ্গে সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড়ও সামলাতে হচ্ছে কুমোরটুলির শিল্পীদের। কেউ মহিষাসুরের সঙ্গে সেলফি তুলছেন তো কেউ তুলছেন গণেশের সঙ্গে। ক্যামেরা হাতে যাচ্ছেন বিদেশিরাও।