আশা-আশঙ্কার মাঝেই শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা কুমোরটুলি পাড়ায়
শনিবার কালীপুজো। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও উৎসবমুখর বাঙালি। দুর্গাপুজো এবং লক্ষ্মী পুজোর পরেই সকলে অপেক্ষা করে থাকেন কালীপুজোর। শ্যামা মায়ের আরাধনায় যাতে কোনো খামতি না থাকে, তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে জোর ব্যস্ততা কুমোরটুলি পাড়ায়।

এমনিতেই করোনা আবহে একটানা কয়েক মাস কোনওরকম পুজো না হওয়ায় ঘরে বসে কাটাতে হয়েছে উত্তর কলকাতার কুমোরটুলি থেকে দক্ষিণের পটুয়াপাড়ার মৃৎশিল্পীদের। দুর্গাপুজো হবে কিনা এই আশঙ্কা করতে করতে অনেক পরে মূর্তি তৈরির বরাত মেলায় শেষ মুহূর্তে শুরু হয়েছে প্রতিমা গড়ার কাজ। তাই শেষের দিকে তড়িঘড়ি প্রতিমা গড়তে গিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছে দুই কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীদের। সেই সঙ্গে প্রথম থেকেই এবছর আবহাওয়া এত বাধ সেধেছে, যে শেষ মুহূর্তে প্রতিমা গড়তে ল্যাজেগোবরে অবস্থা প্রতিমা শিল্পীদের। তাই দুর্গা মূর্তি মণ্ডপে যাওয়ার পর থেকেই লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরিতে চূড়ান্ত ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল কুমোরটুলি পাড়ার মৃৎশিল্পীরা। এবার শ্যামা মায়ের আরাধনায় কিছুটা হলেও স্বস্তি।
অন্য বারের থেকে এই বছরের বেশির ভাগ পুজোর চিত্র একটু আলাদা। করোনা অতিমারীর পরিস্থিতির জেরে ছন্দপতন ঘটেছে সর্বক্ষেত্রেই। তবে দুর্গাপুজোয় কুমোরটুলির যা অবস্থা ছিল তার থেকে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে কালীপুজোর দৃশ্য। তুলনামূলক হাসি ফুটেছে শিল্পীদের মুখে।
বিধিনিষেধ মেনেই চলছে ঠাকুর কেনাবেচা ও প্রস্তুতি। কুমোরটুলি পাড়ায় কালীপুজোর দু'দিন আগেই পাওয়া যাচ্ছে উৎসবের আমেজ। কার্তিক মাসের কৃষ্ণা অমাবস্যা তিথিতে হয় কালীপুজো। তবে সব নিয়ম মেনে খুব নিষ্টা করে করতে হয় মা কালীর পুজো। কার্তিক মাসের এই পুজোকে দীপান্বিতা কালীপূজাও বলা হয়। যেটি ভারতের অনেক স্থানে দীপাবলি নামে পরিচিত।
মৃৎশিল্পীরা জানান, সারা বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করেই সংসার চলে মৃৎশিল্পীদের। এবছর করোনা আবহে আগের মতো বায়না না মেলায় এমনিতেই তাদেরকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যদিওবা কিছু বায়না এসেছে, তা অনেক পরে। তাই তড়িঘড়ি প্রতিমা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদেরকে। তাই দুর্গা প্রতিমা ছাড়তে না ছাড়তেই লক্ষ্মী প্রতিমা গড়াই হিড়িক পড়ে গিয়েছিল কুমোরটুলি পাড়া জুড়ে। এবার কালি পুজোয় অনেকটা স্বস্তি।