ম্যাডক্স স্কোয়ারে যুবকের মৃত্যুতে সন্দেহ চার বন্ধুকেই, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চায় পরিবার
কলকাতা, ২২ জুন : ম্যাডক্স স্কোয়ারে রমিত মন্ডলের (২৯) মৃত্যুর পর ধোঁয়াশা কিছুতেই কাটছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরও স্পষ্ট হচ্ছে না আদতে কীভাবে মৃত্যু হল রমিতের। আর এই ঘটনায় সন্দেহ জোরদার হয়েছে বন্ধুদের উপরেই।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারী অথচ ভোতা কিছু দিয়ে মাথায় মারা হয়েছিল রমিতের। ফলে মাথা থেঁতলে যায়। প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণের ফলে মারা যান রমিত মন্ডল। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধুদের দেওয়া বয়ান ও ঘটনায় অনেক অসঙ্গতি রয়েছে।
ফলে রমিতের বন্ধু দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, চিরঞ্জিত নন্দী, সুরজিৎ নস্কর এবং শুভজিৎ নস্করের প্রতি সন্দেহ আরও বাড়ছে। অন্যদিকে রমিতের পরিবারের তরফেও একই সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সিআইডি বা সিবিআইকে দিয়ে ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
যে এলাকার বিবরণ দেওয়া হচ্ছে সেই এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে রমিতের গাড়ির কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ। এর পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় কারা এসে রমিতকে মারধর করল এবং রমিতের গুরুতর অবস্থা দেখেও কেন আগে থেকে টের পেল না বন্ধুরা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আর এখান থেকেই সন্দেহ আরও জোরদার হচ্ছে। রমিতের পরিবার জানিয়েছে, রমিত এর আগে কখনই সন্ধ্যেবেলা বেরিয়ে এত রাত করে বাইরে থাকেননি। ঘটনার দিনও সারা দিন বাড়িতেই ছিলেন তিনি। শরীর ভাল না থাকায় নিজের ঘরেই শুয়েছিলেন।
সকাল থেকেই ২০ থেকে ২৫ বার রমিতের মোবাইলে তাঁর বন্ধুদের ফোন এসেছিল। কিন্তু ঘুমিয়ে থাকার কারণে রমিত ফোন ধরেননি। তাহলে কেন হঠাৎ করে সন্ধেবেলায় বেরিয়ে রাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরতে রাজি হলেন রমিত। তাঁকে জোর করে বাড়ির বাইরে বের করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। বন্ধুদের ফোনকলের লিস্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরিকল্পনা করেই রমিতকে খুন করা হয়েছে বলে বালিগঞ্জ থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। খুনের মামলা রুজু করে তদন্তেও নেমেছে পুলিশ। তবে একেরপর এক প্রশ্ন আপাতত ভাবিয়ে চলেছে পুলিশকে। আর কিছুটা তদন্ত এগোলেই সব জলের মতো পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।