কলকাতার ঐতিহ্য ট্রাম সাজঝে সংশোধনাগারের বন্দিদের হস্তশিল্পে
আধুনিকতার যুগে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ট্রাম। কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্য ট্রামকেও ভুলতে চলেছে মানুষ। তাই হারিয়ে যাওয়া কলকাতার ঐতিহ্যকে নতুন সাজে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ট্রামের ব্যবহার যখন প্রায় অচল হতে বসেছে নতুন ভাবে ট্রামকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রানস্পর্ট করপরেশন ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপাের্ট করপরেশন। এবার সংশোধনাগারের বন্দিদের তৈরি পাটের হস্ত শিল্প দিয়ে নতুন সাজে সেজে উঠতে চলেছে শহরের ঐতিহ্যবাহী পরিবহন মাধ্যম ট্রাম।

জানা গিয়েছে, এই ট্রামের নাম দেওয়া হয়েছে 'পাট রানী'। দমদম সংশােধনাগারের বন্দিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে সোনালি পাটের বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ট্রামকে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপাের্ট কর্পোরেশনের উদ্যোগে হলেও পাটের সামগ্রী সরবরাহ করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
এই নতুন ট্রাম চালু হবে দীপাবলীর আগেই। জন প্রতি ভাড়া ধার্য করা হয়েছে মাত্র ১৯৯ টাকা। তবে কেউ যদি শ্যামবাজার থেকে এসপ্ল্যানেড হয়ে গড়িয়াহাট পর্যন্ত পুরো সফরের জন্য এই ট্রামটি বুক করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে খরচ পড়বে ২৫০০ টাকা। বিভিন্ন পাটের সামগ্রী দিয়ে সেজে ওঠা এই ট্রামে থাকবে ক্যাফেটেরিয়া। পাওয়া যাবে পানীয় জল, জুস ও স্ন্যাক্স। ট্রামে চলবে বাংলা গান। যাত্রাপথে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থানগুলির ধারা বিবরণী দেওয়া হবে। ট্রামের মধ্যে অবশ্যই এসি'র ব্যবস্থা থাকবে। যা সম্পূর্ণ জেনারেটরে চলবে। যেহেতু ট্রাম লাইনে সাধারণত যে বিদ্যুত পরিবাহিত হয় তা ডিসি কারেন্ট। বর্তমানে ট্রামটি নোনা পুকুর ট্রাম ডিপোতে সেজে উঠছে।
ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেও ব্রিটিশ পিরিয়ডের সময় থেকে ৩০০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এই ট্রাম গাড়ি। কলকাতা মহানগরীর ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ট্রামকে সামনে রেখে মূল উদ্দেশ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর সচেতনতা বার্তা দেওয়া। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপাের্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজনবীর সিং কাপুর জানান , 'অন্যতম সাক্ষী ট্রাম। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সুষ্ঠু মেলবন্ধন ঘটেছে পরিবেশবান্ধব পাট এবং ঐতিহ্যশালী ও আর একটি পরিবেশবান্ধব মাধ্যম ট্রামের।'
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডুবন্ত ট্রলার থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে রক্ষা, সম্মানিত ৯ পুলিশকর্মী