ভূমিকম্পের গ্রাসে বড়সড় সংকটে পড়তে পারে কলকাতা, আশঙ্কার বার্তা ভূতত্ত্ববিদদের
ভূমিকম্পের গ্রাসে বড়সড় সংকটে পড়তে পারে কলকাতা, আশঙ্কার বার্তা ভূতত্ত্ববিদদের
ভূমিকম্পে প্রায়ই থরহরিকম্প ঘটে যাচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না বাংলাও। সোমবার থেকে পরপর দুবার ভূমিকম্প হয়ে গেল উত্তরবঙ্গে। তার মৃদু প্রভাব পড়েছে শহর কলকাতাতেও। এখন প্রশ্ন বাংলার রাজধানী শহর কলকাতা ও শহরতলি কি আদৌ নিরাপদ ভূমিকম্পের প্রকেপ থেকে। বিশেষজ্ঞমহল যে বার্তা দিয়েছে, তা বড়সড় বিপদেরই অশনি সংকেত!
কলকাতা, রাঁচি এবং ঢাকা বড়সড় বিপদের মুখে
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, একটু এদিক-ওদিক হয়ে গেলেই বড়সড় বিপদ নেমে আসতে পারে বাংলার বুকে। কলকাতা, রাঁচি এবং ঢাকা বড়সড় বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সোম-মঙ্গল উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প হয়েছে একাধিকবার। আপটার শকের আতঙ্ক মানুষকে রাস্তায় নেমে ছেড়েছে। ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৪ ম্যাগনিটিউড।
কেন এই বিপদের ঘনঘটা কলকাতা-রাঁচি-ঢাকায়
উত্তরবঙ্গে এই ভূমিকম্পের প্রবণতা থেকেই কলকাতা নিয়ে উদ্বেগ ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বড়সড় সংকটে পড়তে পারে কলকাতা। শুধু কলকাতা নয়, কলকাতার প্রতিবেশী রাজ্য ও রাষ্ট্রের রাজধানী শহর যথাক্রমে রাঁচি ও ঢাকাও বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে। কিন্তু কেন এই বিপদের ঘনঘটা কলকাতা-রাঁচি-ঢাকায়, ব্যাখ্যা দিলেন ভূতত্ত্ববিদরা।
কলকাতার মাটিরে নিচে সুক্ষ ফল্টলাইন সরে গিয়েছে
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বিগত কয়েকদিনের মধ্যে আটলান্টিকের শৈলশিরাকে একাধিক ভূমিকম্প হয়েছে। ফলে ধাক্কা খেয়েছে ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেট। কলকাতার মাটিরে নিচে সুক্ষ ফল্টলাইন সরে গিয়েছে। তার নাম হল ইয়েশিমহিঞ্জ লাইন। এই লাইন পলি দিয়ে ঢাকা রয়েছে। লাইটি নদিয়া থেকে ডান দিক বেঁকে বাংলাদেশ চলে গিয়েছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতে কোনও ভূমিকম্প হলে কলকাতায় প্রভাব
ভূতত্ত্ববিদরা জানান, বাংলাদেশ থেকে এই লাইনটি শিলং মালভূমির কাছে অসে মিশেছে। আর এর ঠিক নিচেই রয়েছে ডাইকি ফল্ট লাইন, তা আবার মিশেছে ইয়োশিমহিঞ্জের সঙ্গে। উত্তর-পূর্ব ভারতে কোনও ভূমিকম্প হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে ডাইকি ফল্ট লাইনে। কলকাতা এমনকী ঢাকাও এর ফলে কম্পমান হয়।
ইয়োশিমহিঞ্জ লাইন সরে গেলে বড় সংকট হবে কলকাতার
আর ইয়োশিমহিঞ্জ লাইন যদি কোনও কারণে নড়বড়ে হয়ে যায়, তবে বড় সংকট হবে কলকাতার বুকে। সেই সংকট মোকাবিলার জন্য সদা সতর্ক থাকা ছাড়া বিকল্প উপায় নেই। রাজ্যে শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র প্রস্তুত রাখতে হবে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৭৩৭ সালে বাংলার বুকে ভূমিকম্প হয়েছিল জোরদার। বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্পের জেরে সুনামি হয়। মৃত্যু হল বহু মানুষের।
প্রশান্ত মহাসাগরে পুনরায় ফিরছে লা নিনা! গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সাইক্লোনে উত্তাল হবে সমুদ্র-উপকূল