দুর্গাপুজোয় রুপোর রথ! নয়া চমক ঘিরে সাজো সাজো রব কলকাতার নামী পুজোয়
গত বছর ছিল এই পুজো মা দুর্গাকে সাজিয়েছে সোনার শাড়িতে। আর এই বছর রুপোর রথে উমাকে ঘরে আনছে কলকাতার বিখ্যাত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের উদ্যোক্তারা। দেখে নেওয়া যাক এই পুজো ঘিরে কী কী চমক রয়েছে।
গত বছর ছিল এই পুজো মা দুর্গাকে সাজিয়েছে সোনার শাড়িতে। আর এই বছর রুপোর রথে উমাকে ঘরে আনছে কলকাতার বিখ্যাত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের উদ্যোক্তারা। দেখে নেওয়া যাক এই পুজো ঘিরে কী কী চমক রয়েছে।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপ ঘিরে কিছু তথ্য
এবছর ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের রুপোর রথ। পুজোর বাজেট যদিও দু'কোটি টাকা।গোটা বিষয়টির পরিকল্পনা ও সৃজনশীলতায় শিল্পী দীপক ঘোষ ।
পুজো নিয়ে কী বলছেন মণ্ডপ সজ্জার শিল্পী?
শিল্পী দীপক ঘোষ বলছেন, এই রুপোর রথ এর চমক তো রয়েছেই। তবে এই চমকে ছাপিয়ে যাবে শিল্পীদের হাতের কারুকার্য। ভারতবর্ষের যে শিল্পীরা এক সময়ে সারা পৃথিবীতে সমাদৃত হত, আজ তারা খেতে পান না। তাদের এই শিল্প কর্ম ফুটে উঠেছে হাতের কাজের মধ্য দিয়ে। বাংলা স্বর্ণের শিল্পীদের কৃতিত্ব আজ দেশ ছাপিয়ে গিয়েছে। গোটা মন্ডপেই দেখা যাবে সেই শিল্প কর্ম। তাদের কৃতিত্বকে কুর্ণিশ জানিয়ে এবার অভিনব উদ্যোগ সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের।
পুজোর উদ্যোক্তারা কী জানাচ্ছেন?
শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় যে শিল্পকর্ম উঠে আসতে চলেছে রথের গায়ে তা দেখলে তাক লেগে যাবে দর্শনার্থীদের। রথের সামনে ঘোড়া থাকবে। কাল্পনিক এক পাহাড়ের পেট ফুঁড়ে থাকবে এই রথ। যেখানে থাকবে সৈন্য-সামন্তরাও। মণ্ডপের অন্দরসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে থার্মোকল। তবে মণ্ডপের মূল আকর্ষণ অবশ্যই রুপোর রথ। দীর্ঘ দিন ধরে উপর নানা নকশা তৈরি করেছেন শিল্পীরা সেগুলো বসানো হবে রথের গায় এই মহামূল্যবান রথের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্ব দিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
মণ্ডপ ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে কী বলছেন উদ্যোক্তরা?
রুপোর রথ ঘিরে সতর্ক মণ্ডপের উদ্যোক্তারা। বসানো হবে স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেম। রথের খুব কাছাকাছি কেউ যদি পৌঁছে যায় সেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
পুরস্কার নিয়ে আদৌ কি চিন্তিত উদ্যোক্তারা?
পুজোর উদ্যোক্তারা বলছেন, মানুষের ভিড়ই আমাদের পুরস্কার। পুজোর দিনগুলোয় মানুষের পায়ে পায়ে ওঠা ধুলো আমাদের কাছে আশীর্বাদ। এর চেয়ে বড়ো পুরস্কার আর হয় না।