'কান্ট্রি-র'সাজে খুঁজে নিন অন্য আমিকে, পরিচালক দেবারতির সৃজনী পদক্ষেপ
পুজো মানেই যেমন ঠাকুর দেখা, খাওয়াদাওয়া ঠিক তেমনিই পুজো মানে ফ্যাশনও, কলকাতার বুটিক 'কান্ট্রি' কী এনেছে ক্রেতাদের জন্য
বদলের হাওয়া এখন ছুঁয়েছে সবার মন, সব করব অথচ অন্য পাঁচজনের থেকে একটু আলাদাও হব তরুণ প্রজন্মের এই ভাবনার জায়গাটাই ছুঁতে চায় কাউন্ট্রি। আসলে পরিচালক হওয়ার সূত্রে দেবারতি গুপ্ত মানুষকে আরও একটা আলাদা স্তর থেকে দেখার চোখ ব্যবহার করতে পারেন। সেখান থেকেই নিজের মত আলাদা ভ্যারাইটি শাড়ি তিনি হাজির করেছেন।
'কান্ট্রির' পথ চলা
বছর খানেক আগে থেকে অনলাইনে আত্মপ্রকাশ করেছিল কান্ট্রি। কিন্তু এখন তার মাটিতেও ল্যান্ডিং হয়েছে। সল্টলেকেই দেবারতির বুটিক। তব শুধু বুটিকেই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা মেলাতেও নিজের পণ্য পসরা নিয়ে পাড়ি জমান দেবারতি। পুজোর আগে এই মুহূর্তেও দিল্লিতে একটা মেলায় থাকছে কান্ট্রির স্টল।
সংগ্রহকারী না ডিজাইনার
প্রচুর ফ্যাশন ডিজাইনার আছেন যাঁরা বিভিন্ন প্রদেশের যেটা স্পেশালিটি সেই সবরকমে শাড়ি সংগ্রহ করে বিক্রি করেন। তবে দেবারতি একটু অন্যরকমের। তিনি শুধুমাত্র নিজের ডিজাইনেই কাজ করেন।
শাড়ির রকমফের
কারিগরদের দিয়ে কাঁথা বা টাই অ্যান্ড ডাই করালেও ডিজাইন একেবারে দেবারতির নিজস্ব। তাঁর ফুলিয়ায় দু'জন তাঁতির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে, যাঁরা দেবারতির ডিজাইন ফুটিয়ে তোলেন। এছাড়াও কাঁথা ও বাটিকের কাজও করান তিনি। মুর্শিদাবাদ সিল্কেও কাজ করান তিনি।
স্লিক এন্ড ট্রেন্ডি
ডিজাইনারের কথা, 'কাঁথা বললেই মনে হয় গোটা শাড়ি জুড়ে কাজ, পড়লেই জম্পেশ পার্টি ওয়ারের ভাব আসে। কিন্তু আমি সেভাবে কাঁথাকে ব্যবহার করছি না। কাঁথাও যে স্লিক হতে পারে সেটা আমার শাড়ি দেখলেই বুঝতে পারবেন। ' পাশাপাশি তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন বাটিক বললেই যে একইরমক ভাঙা রঙের সমাহার মনে হয় তাঁর শাড়িগুলো তার থেকে আলাদা, সেখানে জায়গা করে নিয়ে অটো-গাড়ি এরকম সব মোটিফও।
নয়া সেনসেশন তকলি কটন
দেবারতি -র নিজের লুমে তৈরি এটা সুতীরই একদম নতুন একটা ভ্যারাইটি। এতে যেমন নতুন ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা যায়, ঠিক তেমনিই গরমে পড়তেও দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক।
শিল্পে জিএসটি-র ছায়া
পুজো আছে, আনন্দ আছে, বিপণন আছে, কিন্তু এর মধ্যেও যা চিন্তায় রেখেছে অ্যন্তেপ্রেনিউর দেবারতিকে তা হল জিএসটি-র থাবা। আয়ের দিক থেকে হয়ত জিএসটি-র আওতায় পড়ছে না তাঁর বুটিক, কিন্তু কোনও জায়গায় শ্যো করতে গেলেই লাগছে জিএসটি নম্বর। শুধু দেবারতিই নন, সমস্যায় রয়েছেন তাঁর তাঁতিরাও। যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নিরক্ষরও। রোজগারও যাঁদের একেবারেই সীমাবদ্ধ কিন্তু যেই তাঁর পণ্য বিক্রির জন্য তৈরি হচ্ছে সেসময়ই তাঁকেও পড়ে যেতে হচ্ছে জিএসটি-র চক্রবূহ্যে।