২০১৮ সালে দাঁড়িয়ে যেতে চান ২২১৮-য়! চলে আসুন জগত মুখার্জি পার্কে
আপনার এই জীবন আর ভালো লাগছে না! এগিয়ে যেতে চান ২০০ বছর? বা ২০০ বছর পিছিয়ে ফিরে পেতে চান আগের জীবন? তাহলে অবশ্যই আসতে হবে উত্তর কলকাতার জগত মুখার্জি পার্কে।
আপনার এই জীবন আর ভালো লাগছে না! এগিয়ে যেতে চান ২০০ বছর? বা ২০০ বছর পিছিয়ে ফিরে পেতে চান আগের জীবন? তাহলে অবশ্যই আসতে হবে উত্তর কলকাতার জগত মুখার্জি পার্কে। ৮২ তম বর্ষে উত্তর কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় সার্ব্বজনীন পুজো আনতে চলেছে 'টাইম মেশিন'।
প্রযুক্তি যত এগোচ্ছে, আমরাও ধ্বংসের পথে এগোচ্ছি ধাপে ধাপে। বর্তমান যুব সমাজকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে এবার টাইম মেশিন আনছেন এই পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। সেই টাইম মেশিনের মাধ্যমে ২০১৮ সালে দাড়িয়ে চলে যাওয়া যাবে ২২১৮ সালে। আবার ফিরেও পাওয়া যাবে ২০০ বছর পুরনো অতীতকে।
গত বছর পুজোয় দর্শনার্থীদের উত্তর কলকাতার এই অন্যতম পুজো 'সাবমেরিন' বা যুদ্ধ জাহাজ উপহার দিয়েছিল। তার আগের বছরে দর্শনার্থীরা এখানে পুজো দেখতে এসে 'বনগাঁ লোকাল' এর ভিড় ট্রেনেও চড়ার সুযোগ পেয়েছিল। সেবার 'ডাউন বনগাঁ লোকাল' থিম ব্যাপক হইচই ফেলে দিয়েছিল জগৎ মুখার্জি পার্কে। আর এবছর 'টাইম মেশিন' কত জন চড়বেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। কারণ পুজো একেবারেই দোর গোড়ায়।
প্রতি বছরই নতুনভাবে নতুন কিছু দেখার বা চড়ার সুযোগ করে দেয়। এই পুজো এবছরেও নতুন কিছু দেখাতে চলেছে শিল্পী সুবল পাল। তিনি জানান, পৃথিবী যে ধ্বংসের পথে তার চূড়ান্ত উদাহরণ বর্তমান যুব সমাজ। কারণ সারাক্ষণই তারা একাকীত্বে ভূগছে চার দেওয়ালের মধ্যে। যুব সমাজ আজ বোকা বাক্সতে বন্দী। নেশাতুর হয়ে পড়েছে এই বোকা বাক্সের টানে। তাই সেখান থেকে বের করে ২২১৮ সালে আমাদের ভবিষ্যৎ কি হবে মানে আমরা কতটা বিপদের সম্মুখীন হচ্ছি তা দেখাতে হবে তাদের।
অর্থাৎ ২০১৮ তে দাড়িয়ে ২০০ বছর ভবিষ্যৎ এ পৌছনো যাবে। আবার আজ থেকে ২০০ বছর আগে আমাদের অতীতকে দেখিয়ে তাদের বোঝাতে হবে আধুনিকতায় আমরা কতটা ধ্বংসলিলায় মেতেছি। হঠাৎই এক মৃত্যু যেন কেড়ে নিল সব আলো। নিঃস্ব কিশোরের তার সব চেয়ে প্রিয়, পৃথিবী সমান বাবা, চলে গেলেন হঠাৎ। এমনিতেই হার্টের অবস্থা ভাল ছিল না তেমন। তার উপর মদ ও ধূমপান। ফলে পরিণতি অকালমৃত্যু। ঠিক তেমনি আমাদের পৃথিবীর অকাল মৃত্যুর আগে দেখানো উচিত মৃত্যুর কারণ। জানা উচিত বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ।
তিনি আরও বলেন, 'জগত মুর্খার্জি পার্কের গোটা মন্ডপ জুড়ে থাকছে বড় বড় ঘড়ি। যেখানে টাইম মেশিনে আমাদের ঘুরিয়ে দেখাবে এই পৃথিবীর ২০০ বছর পর চিত্র। আগের চিত্র।' আবাহ সঙ্গীতে আছেন পার্থ পাল। দূর্গা প্রতিমার মধ্যেও থাকছে বিশেষ আধুনিকতার ছোয়া। মা দূর্গাকে বিশেষ সোনার গহনা দিয়ে সাজানো হচ্ছে। তাই এখানে দূর্গা প্রতিমার মধ্যেও অন্যরকম কিছু দেখতে পাবেন দর্শকরা।
পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে সাধারণ সম্পাদক দৈপায়ন রায় বলেন, এবারের পূজোর আমাদের থিম টাইম মেশিন। ২০১৮ সালে দাড়িয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরে ২২১৮ সালে আমাদের কোথায় দাঁড়াতে হবে তা তুলে ধরা হবে এই থিম টাইম মেশিনে। দেখানো হবে ২২১৮ তে বিজ্ঞান কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে। ২০০ বছর পর মানুষ তো আর বেচে থাকবে না। কিন্তু ২০০ বছর পর মানুষ কোথায় গিয়ে পৌচ্ছাবে সেটাই এখানে দেখতে পাবেন।