দর্শনার্থীদের পুজো দেখার সুযোগ করে দিতে দারুণ এক পরিকল্পনা নিয়ে এল শহরের এই পুজো কমিটি
দর্শনার্থীদের পুজো দেখার সুযোগ করে দিতে দারুণ এক পরিকল্পনা নিয়ে এল শহরের এই পুজো কমিটি
করোনা সঙ্কটকালে একটু স্বস্তি দেবে পূর্বের রাজ্যগুলির প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজো ও নবরাত্রি পালন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অসম, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে। প্রত্যেক বছর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি দারুণ দারুণ বিষয়ের ওপর তাদের মণ্ডপ সজ্জা করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেয়। থিম থেকে মণ্ডপ সজ্জা, আলোর কাজ ও মূর্তি প্রতি বছরই আলাদা আলাদাভাবে হয়। যদিও এ বছর করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে খুবই সাধারণভাবে এই পুজো হবে বলে জানা গিয়েছে। এ বছর হয়ত মণ্ডপে আর দর্শনার্থীর ভিড় দেখা যাবে না। তবে এরই মধ্যে কলকাতার একটি পুজো কমিটি দর্শনার্থীদের মা দুর্গার আশীর্বাদ পাওয়ানোর জন্য অনন্য এক পরিকল্পনা করেছে।
মা দুর্গাকে দর্শনার্থীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য যোধপুর পার্কের ৯৫ পল্লী দারুণ এক পরিকল্পনা করেছেন। শুনতে অবিশ্বাস লাগলেও, এটাই সত্যি। তাঁদের পরিকল্পনা সম্পর্কে যা জানতে পারা গিয়েছে, তা হল, ৯৫ পল্লী তাদের দুর্গা প্রতিমা নিয়ে পৌঁছে যাবে পাড়ায় পাড়ায়। জানা গিয়েছে, ওই পুজো কমিটি ঠিক করেছে যে বড় দুর্গা তাঁদের প্যান্ডেলে থাকবেন, তারই ছোট আকৃতি নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে তাঁদের কমিটির গাড়ি। যাতে যে সব দর্শনার্থী ইচ্ছা থাকলেও বেরোতে পারছেন না, তাঁরা যাতে দর্শন করতে পারেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
সেক্ষেত্রে ৯৫ পল্লী একটি সুসজ্জিত ট্যাবলো তৈরি করছে, যেখানে সেই ছোট প্রতিমা রাখা হবে। এমন ভাবে সেটিকে রাখা হবে, যেন প্রত্যেকে তা স্পষ্ট করে দেখতে পান। তবে আর কী কী পরিকল্পনা রয়েছে ওই পুজো কমিটির তা এত তাড়াতাড়ি খোলসা করে বলতে চাননি তাঁরা। পুজো কমিটির এও পরিকল্পনা রয়েছে প্রধান মণ্ডপের পাশাপাশি ছোট ওই ট্যাবলোতেও পুষ্পাঞ্জলির আয়োজন করা এবং ট্যাবলোতে থাকা প্রতিনিধিরা সেই পুষ্পাঞ্জলির ফুল সংগ্রহ করে মূল প্রতিমার পায়ে এসে দিয়ে দেবেন।
এ বছর গৌরীবাড়ির দুর্গাপুজোয় প্রতিমা মুখ ঢাকবেন রূপোর মাস্কে। যার ওজন ৪১.৮ গ্রাম। মাস্ক পরার বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ পুজো কমিটির। এ বছর দুর্গাপুজো শুরু হবে ২২ অক্টোবর থেকে এবং শেষ হবে ২৬ অক্টোবর।
লালু প্রসাদের উপর 'করোনা ফাঁড়া', আক্রান্ত ৯ জন রক্ষী! ফের টেস্ট হবে আরজেডি প্রধানের