বিশ্ববাংলার ব্র্যান্ড হিসেবে কলকাতার পুজো হচ্ছে পর্যটনের ইউএসপি
কলকাতা, ১৩ অক্টোবর : এ এক অনন্য ভাবনা। বাংলা ও বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজোকে তুলে ধরা বিশ্ববাংলার ব্র্যান্ড হিসেবে। বলা যায়, পুজোর বিষয়-ভাবনাই পর্যটনকে ইউএসপি করার প্রথম পদক্ষেপ। সৌজন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাবনার জন্ম গতবারই। সেবার সময়াভাবে প্রকাশ হয়নি ভাবনার। এবার আর দেরি না করে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেই ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাআওয়াজ, ইদের নামাজের পর এবার দুর্গাপ্রতিমার বিসর্জনও যুক্ত হতে চলেছে রেড রোডে।
কেন এই ভাবনা? মমতার ব্যাখ্যা, কলকাতার দুর্গাপুজোর জৌলুস দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তের মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে দিতে পারে। কলকাতার পুজোর নানা চমককে তাই পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরা যেতেই পারে। বিশ্ববাংলার ব্র্যান্ড হওয়ার সমস্ত উপকরণ মজুত রয়েছে বাংলার পুজোয়। তার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শুক্রবার রেড রোডের শোভযাত্রায় পুজোর ব্র্যান্ডিংয়েই নজর রাজ্য সরকারের।
কলকাতার দুর্গাপুজো ব্রাজিলের কার্নিভালের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। তাই ব্রাজিল কার্নিভালের মতো বাংলার শারদীয়া উত্সবকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার এই উদ্যোগ। শুক্রবার নিরঞ্জনের আগে সেরা ২৭টি পুজোকে নিয়ে তাই চোখ ধাঁধানো শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। নিজেদের পুজো মণ্ডপে থিম, বিষয়ভাবনায় একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার পর্ব শেষ হয়েছে। এবার রেড রোডে শোভাযাত্রায় লড়াই।
অংশগ্রহণকারী প্রতিটি পুজো যে ট্যাবলোগুলি সাজাবে, তাতে মণ্ডপের থিমই ছোট আকারে রাখা থাকবে৷ এক-একটা পুজো কমিটি চারটির বেশি ট্যাবলো রাখতে পারবে না। থাকবেন ১০০জন ঢাকি। এক আলাদা উৎসবের আমেজ আগামীকাল রেড রোডে। মোট ২৭টি পুজোর মধ্যে সবার সেরা ১৫টি পুজো, সেরা তিনটি মণ্ডপ, সেরা চারটি প্রতিমা এবং সেরা পাঁচটি আলোকসজ্জা এই যাত্রায় অংশ নেবে৷
ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে থেকে রেড রোড ধরে পুলিশ মেমোরিয়াল পর্যন্ত শোভাযাত্রা হবে৷তারপর বাজেকদমতলা, দইঘাট এবং বাবুঘাটে বিসর্জন দেওয়া হবে৷ উত্তর কলকাতার পুজোগুলিকেও নিমতলা ঘাটে বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ, স্পেশাল ফোর্স ও কমান্ডো বাহিনী থাকবে৷ থাকবে সিসিটিভি নজরদারিও৷ গড়ে তোলা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ারও। পুরো অনুষ্ঠান একসঙ্গে ৫০ হাজার দর্শক দেখতে পারবেন। শুক্রবার বিকেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।