কুমারগঞ্জ নিয়ে লকেটের মশাল মিছিলে পুলিশের বাধা, এলাকায় উত্তেজনা
কুমারগঞ্জ থেকে নিখোঁজ নির্যাতিতার পরিবার। যার প্রতিবাদে এদিন কলকাতায় মশাল মিছিল বিজেপির। যদিও সেই মিছিলে অনুমতি না থাকায় পুলিশ তা আটকে দেয়।
কুমারগঞ্জ থেকে নিখোঁজ নির্যাতিতার পরিবার। যার প্রতিবাদে এদিন কলকাতায় মশাল মিছিল বিজেপির। যদিও সেই মিছিলে অনুমতি না থাকায় পুলিশ তা আটকে দেয়। উত্তেজনা দেখা যায় বিজেপির সদর দফতরের কাছে। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাস্তা আটকে শুরু হয় অবরোধ।
বিজেপির দাবি পুলিশকে তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে জানানো ছিল। রাজ্য বিজেপির অফিস থেকে যোগাযোগ ভবন পর্যন্ত মিছিল করার কথা জানিয়েছিল বিজেপির মহিলা মোর্চা। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় এদিন মশাল মিছিল বের করেছিল। অন্যদিকে, পুলিশের দাবি মিছিলে পুলিশের কোনও অনুমতি নেই। জানা গিয়েছে মিছিলে মশাল থাকার কারণেই তা অনুমতি দেওয়া হয়নি। মিছিল আটকে দেওয়া হয় সিআর এভিনিউতে।
বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা জোর করে এগোতে চাইলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশের তরফে বারবার অনুরোধ করা হয় মশালগুলি নিভিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতেই রাজি হয়নি বিজেপির মহিলা মোর্চা।
দিন কয়েক আগে কুমারগঞ্জের কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। পরে আগুন দেওয়া হয়। অনেকেই বলছেন, এই ঘটনা দিল্লির নির্ভয়া এবং হায়দরাবাদের খুনের ঘটনার সঙ্গে তুলনীয়।
এদিকে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ সত্য গোপন করতে প্রশাসন নির্যাতিতার পরিবারকে লুকিয়ে রেখেছে। কেকনা তিনি কুমারগঞ্জে গিয়েও নির্যাতিতার বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। লকেট চট্টোপাধ্যায় যে সময় কুমারগঞ্জে গিয়েছিলেন, সেই সময় নির্যাতিতার বাবা-মাকে প্রশাসনের তরফে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য বালুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে লকেক চট্টোপাধ্যায় নির্যাতিতার আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে থানায় মিসিং ডায়েরি করেন।
দিন তিনেক আগে কুমারগঞ্জ কাণ্ড নিয়ে কলকাতায় মিছিল করেছিল বিজেপি। তবে সেই মিছিলে ফ্লেক্সে ধর্ষিতার নাম প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় বিতর্ক দেখা দেয়।