শিক্ষক সংগঠনের মিছিল রুখে দিল কলকাতা পুলিশ
মঙ্গলবারও চলল শিক্ষক সংগঠনগুলির আন্দোলন। তবে শক্ত হাতে আন্দোলন রুখল কলকাতা পুলিশ প্রশাসনও। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সোমবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। তাঁকে অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাধে ময়দান চত্বরে। পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে রাতভর ধরনায় বসেন শিক্ষকরা।
আজ, মঙ্গলবার সকালে তাঁরা অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিসি সাউথ সুধীরকুমার নীলকন্ঠম। শিক্ষকদের বুঝিয়ে সেই মিছিল রুখতে সক্ষম হন তিনি। তবে তারই ফাঁকে ঘটে বিপত্তি। উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তারা যখন শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলছেন, তখনই বিক্ষোভরত শিক্ষকদের একাংশ প্রেস ক্লাবের দিকে তৈরি করা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদেরকে সামলাতে পুলিশ যখন ব্যস্ত, তখন প্রতিরোধ গড়ে ওঠে মেয়ো রোডের দিকের ব্যারিকেডের সামনেও। একটি ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক।
নবান্ন অভিযানের অশান্তির রেশ এদিনও। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাতভর ধর্নায় বসলেন শিক্ষকরা। হঠাৎই অর্ধনগ্ন হয়ে মিছিলে হাঁটার ডাক দিলেন আন্দোলনকারীরা। যার জেরে মঙ্গলবার দিনভর নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল শহিদ মিনার চত্বরে। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। আজও চলে চলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। তবুও নিজেদের অবস্থানে অনড় শিক্ষকরা।
বেশ কিছুক্ষণের জন্য এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে সেখানেই বসে রয়েছেন বিক্ষোভকারী শিক্ষকরা। শিক্ষক ঐক্যমঞ্চের সম্পাদক মইদুল ইসলাম বলেন, 'আমরা কি চোর ডাকাত? আমাদের রুখতে এত ব্যারিকেড কেন? আমরা তো কোনও অন্যায় দাবি করছি না। আগামী দিনে আমাদের দাবি মানা না হলে এখানে সুইসাইডাল জোন তৈরি করব।'