গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে আমির খানের আরও ২০ কোটি টাকার খোঁজ! বড় সাফল্য পুলিশের
বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ! গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে আরও ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় মাসখানেক আগেই গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানকে গ্রেফতার করা হয়। আর এরপর থেকেই একাধিক জায়গাতে তল্লাশি চালান তদন্তকারী
বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ! গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে আরও ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় মাসখানেক আগেই গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানকে গ্রেফতার করা হয়। আর এরপর থেকেই একাধিক জায়গাতে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আর সেই তল্লাশিতে ১৫০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সল্টলেকের একটি ব্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে একের পর এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সামনে আসে। আর সেখানেই বিপুল অর্থের খোঁজ পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। একেবারে ২০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।
এই সব অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধ উপায়ে টাকার লেনদেন করা হত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। আর এরপরেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর বিপুল এই অর্থের সন্ধান তদন্তকারীরা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যা অবশ্যই বড় সাফল্য বলেই খবর।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিপুল পরিমাণ এই টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হত। এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সিতেও বিপুল টাকা বিনিয়োগ করা হত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে কয়েকশ কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং বিট কয়েন বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
বলে রাখা প্রয়োজন, এই ঘটনার তদন্তে নেমে গত কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকটি জায়গাতে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। একাধিক অফিসেও চলে তল্লাশি। সেখানে একাধিক নথী এবং সুত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনকি ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হ য়। আর এই যোগসূত্রে এক মহিলাকেও গ্রেগতার করা হয়।
তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হওয়ার প্রমাণ তদন্তকারীরা পান। আর এরপরেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। বলে রাখা প্রয়োজন, গোটা দেশজুড়ে মোবাইল গেমের মাধ্যমের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি কোটি টাকা প্রতরনা হয়েছে বলে অনুমান।
আর সেই তদন্তে নেমেই গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি সহ একাধিক জাউয়গাতে তল্লাশি চালায় ইডি। আর সেই তদন্তে আমির খানের বাড়ি গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল থেকে ১৭ কোটি টাকা নগদ উয়দ্দঘার করে তদন্তকারী সংস্থা। যদিও আমিরকে গ্রেফতার করতে সেদিন পারিনি কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
যদিও পরবর্তীকালে একটি মামলার সূত্রে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর থেকে দফায় দফায় আমিরকে জেরা করেছেন পুলিশের আধিকারিকরা। আর তাতে বেশ কিছু আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।