কসবায় আধিকারিক খুন! 'বিশেষ সম্পর্ক' নিয়ে তদন্ত পুলিশের
কসবায় কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক খুনে ধৃত দুজনকে সোমবার আদালতে পেশ করা হবে। ধৃত শম্ভু কয়ালকে তোলা হবে আলিপুর আদালতে। অন্যদিকে শম্ভুর বন্ধু নাবালক হওয়ায় তাকে জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে।
কসবায় কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক খুনে ধৃত দুজনকে সোমবার আদালতে পেশ করা হবে। ধৃত শম্ভু কয়ালকে তোলা হবে আলিপুর আদালতে। অন্যদিকে শম্ভুর বন্ধু নাবালক হওয়ায় তাকে জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে। পুলিশের একাংশের দাবি, শম্ভু কয়ালের সঙ্গে শীলা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। খুনের পিছনে আর কোনও কারণ আআছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ।
শীলা চৌধুরীর জীবনযাপনও সন্দেহের চোখে রেখেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থকর্মী শীলা চৌধুরীর জীবনযাত্রা ছিল বিলাসবহুল। রোজাগারের টাকায় তিনি কুলিয়ে উঠতে পারতেন না। বন্ধুদের কাছ থেকেও টাকা নিতেন। এমন কী পরিচারক শম্ভুর কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি।
এদিকে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ের শেষকৃত্য করতে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আসছেন না ছেলে সায়ম। শনিবার শীলা চৌধুরীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর বড়দা ছেলে সায়মকে ঘটনাটি জানান। তখন ছেলে এই কথা জানিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, স্বামী বিশ্বজিৎ বছর ১৭ আগে ছেলেকে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া চলে গিয়েছিলেন। সেখানে বছর পাঁচেক আাগে তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে শম্ভু কয়াল সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, সে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। তদন্ত করতে গিয়ে অনেক ঘাঘু অপরাধী যা করতে পারে না, সেই কাজ করেছে শম্ভু। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। সাত-সাতবার পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছে পুলিশকে। ঘটনার পুননির্মানে বারবার বাধা পেয়েছে পুলিশ। তাই তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি, ঘটনার পুননির্মাণ করতে চায় পুলিশ।