হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে
টানা ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কিংবা বিজেপির কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
কলকাতা, ৪ জানুয়ারি : রাজ্য বিজেপি দফতরে হামলার ঘটনায় নয়া মোড়। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় দলের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করল লালবাজার। আজ বুধবার জোড়াসাঁকো থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুধু হিংসা ছড়ানো নয়, ভাঙচুর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মামলার ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কিংবা বিজেপির কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে হামলা করা হলেও বিজেপির তরফেও পালটা হামলা চালানো হয়েছে। দুই রাজনৈতিকদলের মার পালটা মারে উত্তপ্ত চেহারা নেয় গোটা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। এই ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজনও আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। যার মধ্যে জোড়াসাঁকো থানার ওসিও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর পায়ে চোট লেগেছে।
অন্যদিকে ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কেউ গ্রেফতার না হওয়াতে ক্ষুব্ধ বিজেপি। পুলিশের বিরুদ্ধে ফের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব তারা। একইসঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হচ্ছে বলেও দাবি বিজেপির। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত ছিল না বিজেপি। ইচ্ছাকৃতভাবে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপিকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি রাজ্য নেতৃত্বের। যদিও পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নিয়ে স্পিকটি নট তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল মঙ্গলবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরেই বিজেপি অফিসে হামলা চালায় তৃণমূল। অভিযোগ ওঠে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই এই হামলা চালায় তৃণমূলকর্মীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। পালটা তৃণমূলের উপরেও চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা। দুপক্ষের মার-পালটা মারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। দফায় দফায় প্রায় কয়েকঘন্টা ধরে উত্তপ্ত থাকে এলাকা।