আমেরিকায় নাবালিকা পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট কলকাতা! যেভাবে হত মেয়েদের ‘সর্বনাশ
নাবালিকা পাচারের জাল কেটে তিন পান্ডাকে গ্রেফতারের পরই কলকাতার গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, আমেরিকায় নাবালিকা পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট হল কলকাতা।
নাবালিকা পাচারের জাল কেটে তিন পান্ডাকে গ্রেফতারের পরই কলকাতার গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, আমেরিকায় নাবালিকা পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট হল কলকাতা। গত দু বছরে কলকাতা হয়ে ১৩ জন নাবালিকা পাচার হয়েছে আমোরিকায়। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন নাবালিকা পাচারের আন্তর্জাতিক চক্রের পাণ্ডারা ছড়িয়ে রয়েছে কলকাতা থেকে আমেদাবাদে। কলকাতার বাসিন্দা নাসির এই চক্রের মূল পাণ্ডা। কলকাতা হয়েই আমেরিকা পাঠানো হত নাবালিকাদের। এই চক্রের কর্মকাণ্ডও চমকে দেওয়ার মতো। নাবালিকাদের প্রথমে কলকাতায় এনে গোপন জেরায় রাখা হত।
তারপর হাওড়ায় ওইসব নাবালিকাদের পাসপোর্ট তৈরি করা হত। এই সমস্ত বিষয় সামলাত নাসির। দীর্ঘ জেরার পর পুলিশ জানতে পেরেছে, নাসিরের স্ত্রী মার্কিন কনসুলেটের ভিসা বিভাগে কাজ করেন, এই চক্রে তাঁর কোনও ভূমিকা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: মেয়েকে 'সর্বনাশে'র পথে ঠেলে দিচ্ছে নিজের বাবা-ই! বিয়ের নামে বিরাট চক্র ফাঁস]
কলকাতা পুলিশ নাসির ও মুকেশকে গ্রেফতার করার পরই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই জাল বহুদূর পর্যন্ত ছড়ানো রয়েছে। ময়ূর ব্যস নামে আরও এক যুবক গ্রেফতার হয়। এই চক্রে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের ফাঁদ পেতেছেন গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন:গণধর্ষণের পর বিয়ে ঘিরে ব্ল্যাকমেল! ফেসবুক-বন্ধুর 'কীর্তি' ঘিরে চাঞ্চল্য ]
উল্লেখ্য কলকাতার নাসিরের হাতে নাবালিকা মেয়েদের তুলে দিতে এসেছিল গুজরাটের বাসিন্দা মুকেশ ভাই দর্জি। যে তিন নাবালিকাকে নিয়ে মুকেশ এসেছিল, তাদের মধ্যে ছিল মুকেশ ভাইয়ের নিজের নাবালিকা কন্যাও। মেয়েকে মুকেশ বুঝিয়ে ছিল, আমেরিকায় তার বিয়ে হবে। সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছে ভবেশ নামে এক যুবক। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরই সন্দেহ হয়েছিল কলকাতা পুলিশের। তারপরই মুকেশ ও নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়। সামনে আসে নাবালিকা পাচরের আন্তর্জাতির চক্রের কর্মকাণ্ড।
[আরও পড়ুন:গণধর্ষণের পর বিয়ে ঘিরে ব্ল্যাকমেল! ফেসবুক-বন্ধুর 'কীর্তি' ঘিরে চাঞ্চল্য ]