দুর্ঘটনায় উত্তপ্ত পণ্ডিতিয়া প্লেস, ভাঙচুর কাণ্ডে ধৃত ৮, অধরা মার্সিডিজ চালক
কলকাতা, ১৯ সেপ্টেম্বর : কলকাতার পণ্ডিতিয়া প্লেসে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে অভিজাত আবাসনে হামলার ঘটনায় মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে মার্সিডিজের চালক ও মালিককে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। অবশ্য ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গিয়েছে মার্সিডিজের চালক-মালিককে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার গভীর রাতে। বেপরোয়া বোগে ছুটে চলা একটি মার্সিডিজ গাড়ি তিন স্কুটার আরোহীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিজিৎ পাণ্ডের। মিথিলেশ রায় ও রামভরত যাদব গুরুতর জখম হন। এরপরই রবিবার সকালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। তাঁরা চালকের খোঁজে স্থানীয় একটি অভিজাত আবাসনে হামলা চালান। জনরোষের শিকার হয় আবাসনের ৭৮টি দামি গাড়ি। আবাসনটিতেও যথেচ্ছ ভাঙচুর চালানো হয়।
৩০-৪০ জন উন্মত্ত জনতার রোষানল থেকে বাদ যায়নি কিছুই। প্রায় কোনও গাড়িই রক্ষা পায়নি। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে মার্সিডিজ চালককে। রবিবার বিকেলে আবাসনের বাসিন্দারা এই ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। হাজরা মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দিনভর পণ্ডিতিয়া রোডের দুর্ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা।
সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বহু দামি গাড়ি ভাঙচুরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের গাড়িটিও। তিনিও ফোর্ড ওয়েসিস আবাসনের বাসিন্দা। আবাসনে হামলার তদন্ত শুরু করেছে লেক থানার পুলিশ। অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তদন্ত করছে কলকাতা ট্রাফিক গার্ডের ফেটাল স্কোয়াড।
রেজিস্টার খাতা অনুযায়ী, মার্সিডিজটি আবাসনে এসেছিল। পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, ঘাতক মার্সিডিজটি একটি সংস্থার নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, মার্সিডিজটি যদি আবাসনের কারও হয়ও, তাহলে আইন মেনে পুলিশে অভিযোগ জানানো যেত। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে কেন আবাসনে হামলা হল? এখানকার বাকি বাসিন্দারা কী দোষ করলেন? কেন পরপর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আবাসনের ৭৮টি গাড়ি? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।