জলাধারগুলির অবৈধ ভরাটে রোধে এবার নয়া অ্যাপ-ই হাতিয়ার কলকাতা পৌরসভার
জলাধারগুলির অবৈধ ভরাটে রোধে এবার নয়া অ্যাপ-ই হাতিয়ার কলকাতা পৌরসভার
পূর্ব কলকাতার জলাভূমিগুলিতে অবৈধ নির্মাণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ টাস্কফোর্স নিয়ে গঠন করতে চলেছে রাজ্যের পরিবেশ বিভাগ। এবার শহরের যে কোনও প্রান্তের জলাধার গুলির অবৈধ ভরাট রোধে বিশেষ অ্যাপ আনতে চলেছে কলকাতা পৌরসভা। পৌরসভা সূত্রে খবর, এই অ্যাপের মাধ্যমে ওই জলাধার গুলিতে অবৈধ নির্মাণের উপরেও এবার থেকে বিশেষ নজরদারি চালানো যাবে।
জল সংরক্ষণের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পরই এই বিষয়ে একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, 'আমরা একটি মোবাইল অ্যাপ আনতে চলছি যেখানে শহরের সমস্ত জলাশয়ের সংখ্যা ও আয়তনের ব্যাপারে বিশদ বর্ণনা থাকবে। যার ফলে আগামীতে অবৈধভাবে কোনও পুকুর বা জলাধার ভরাট করা হচ্ছে কিনা তাও এই অ্যাপের মাধ্যমে আমরা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হব। ’
ইতিমধ্যেই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কলকাতা পৌরসভা নতুন করে কোনও জলাধার ভরাট করে নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি সূত্রের খবর, কলকাতা পৌরসভা আইন ৪৯৬-ক প্রয়োগ করে ব্যক্তিগত মালিকানাধিন প্রায় দেড় হাজারের কাছাকাছি পুকুর সংস্কারও সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, ' পুকুর গুলির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেখানে মাছ চাষ করতে এলাকার যুবকদের ইতিমধ্যে উত্সাহিতও করা হচ্ছে কলকাতা পৌরসভার তরফে’।
অন্যদিকে শহরের ঐতিহ্যশালী ভবন ও জলাধার গুলির সংরক্ষণের জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি পৌরসভার পরিবেশ বিভাগকে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ' এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সাময়িক ভাবে আমরা বেশ কিছু পরিবেশবিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও শুরু করেছি। পরবর্তীতে পুরসভায় তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা করা হবে।’ এদিকে কিছুদিন আগে মেয়র পদে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পরই মূলত তার উদ্যোগেই ঠাকুরপুকুর ও বেহালার বেশ কিছু ওয়ার্ডে বেআইনি ভাবে জলাধার ভরাটের কাজ রোধ করা সম্ভব হয়।