আবির্ভাবের মৃত্যুর পর ডেঙ্গি নির্ধারণে আবারও কলকাতা পুরসভার পদ্ধতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
প্লেটলেট ঠিক থাকলেই ডেঙ্গির পরীক্ষার আর দরকার নেই। এমনটাই বলছেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। অন্তত এমন তথ্যই উঠে এসেছে যাদবপুরের আবির্ভাব মজুমদারের মৃত্যুর পর।
প্লেটলেট ঠিক থাকলেই ডেঙ্গির পরীক্ষার আর দরকার নেই। এমনটাই বলছেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। অন্তত এমন তথ্যই উঠে এসেছে যাদবপুরের আবির্ভাব মজুমদারের মৃত্যুর পর। যদিও পুরসভার ডেঙ্গি নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।
যাদবপুরের পল্লীশ্রীর আবির্ভাব মজুমদার মারা যায় শনিবার ভোরে। এর আগে জ্বরে ভুগতে থাকায় সাত নম্বর বরোর পুর ক্লিনিকে তা রক্ত পরীক্ষাও হয়। সেখান থেকে জানানো হয় প্লেটলেট ঠিক আছে, ভয়ের কিছু নেই। ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষারও দরকার নেই বলেই জানানো হয় পুর ক্লিনিক থেকে। অথচ অবস্থা খারাপ হওয়ায় মঙ্গলবার আবির্ভাবকে বাইপাসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার বুধবার তাকে আইসিইউতে দেওয়া হয়।
শুধুমাত্র প্লেটলেটের বিচার করে ডেঙ্গি নির্ধারণের পুর চিকিৎসা পদ্ধতিকে বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীও শহরের রক্ত পরীক্ষার কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। ফলে তারই দলের হাতে থাকা পুরসভাও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম করে দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
যাদবপুরের আবির্ভাবের ক্ষেত্রে পুরক্লিনিকে হওয়া রক্ত পরীক্ষায় প্লেটলেট ঠিক থাকায়, শুরুমাত্র প্যারাসিটামল খাওয়ানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় এনএসওয়ান এলাইজা পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা সরকার তথা পুরসভার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। গায়ে র্যাশ বেরোলেও ডেঙ্গির পরীক্ষা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে কোনও উত্তর দিতে পারেন সাত নম্বর বরোর পুরকর্মীরা।