উচ্ছিষ্ট মাংস নিয়ে তদন্ত! চিড়িয়াখানায় গিয়ে ফের জিজ্ঞাসাবাদ, যা বললেন এক কর্মী
চিড়িয়াখানার বাঘের উচ্ছিষ্ট মাংসও কি যেত মানুষের পাতে। এমনই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সোমবার রামপ্রীত দাস নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা।
চিড়িয়াখানার বাঘের উচ্ছিষ্ট মাংসও কি যেত মানুষের পাতে। এমনই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সোমবার রামপ্রীত দাস নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা। ধাপায় ফেলার জন্য রামপ্রীত চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে যেতেন সেই মাংস। ভাগাড় কাণ্ড সামনে আসার পর শুক্রবার থেকে রামপ্রীতের সন্ধান শুরু করেছিল পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে রামপ্রীত দাস জানিয়েছেন, চিড়িয়াখানা ছাড়াও খিদিরপুর থেকেও সে উচ্ছিষ্ট মাংস সংগ্রহ করে। যা নিয়ে যায় ধাপায়। ধাপায় গাড়ি পিছু ২০ টাকা করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছে রামপ্রীত। তবে এরজন্য কোনও রশিদ দেখাতে পারেননি রামপ্রীত। তবে রামপ্রীত জানিয়েছেন, ২০০৬ সাল থেকে তিনি এই কাজে যুক্ত রয়েছেন।
কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, হায়নার জন্য প্রতিদিন প্রায় ১২০-১২৫ কেজি মাংস আনে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তবে এই পশুদের খাওয়ার পরও প্রতিদিনই বেঁচে যায় প্রায় ১৫ কেজি মাংস। নিয়ম অনুযায়ী, সেই মাংস বাঘ সিংহকে আর খেতে দেওয়া হয় না। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেই মাংস সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাসে ২৬০০ টাকার বিনিময়ে রামপ্রীত দাস নামে এক ব্যক্তিকে নিযুক্ত করেছিলেন। উচ্ছিষ্ট মাংস আদৌ ধাপায় ফেলা হত কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এর
আগে
পুরসভার
কর্তাদের
নিয়ে
চিড়িয়াখানায়
হানা
দিয়েছিলেন
মেয়র
পারিষদ
স্বাস্থ্য
অতীন
ঘোষ।
পশুদের
মাংস
কোথা
থেকে
কী
ভাবে
আনা
হয়,
সেই
বিষয়ে
খোঁজ
খবর
করতে
গিয়েই
এই
উচ্ছিষ্ট
মাংসের
কথা
বেরিয়ে
পড়ে।
চিড়িয়াখানা
কর্তৃপক্ষের
তরফে
জানানো
হয়,
স্বীকৃত
একটি
সংস্থা
পশুদের
জন্য
মাংস
সরবরাহ
করে।
দরপত্র
ডেকে
মাংস
কেনা
হয়।
সেই
মাংস
কেটে
বাঘ
সিংহকে
দেওয়ার
আগে
পশু
চিকিৎসকরা
তা
পরীক্ষা
করেন
দেখেন।