সোমবার থেকে ফের ছুটল কলকাতা মেট্রো, রয়েছে একগুচ্ছ সতর্কতা
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একগুচ্ছ সতর্কতা নিয়ে প্রায় পাঁচমাসের ওপর মেট্রো বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে ছুটল কলকাতার লাইফলাইন মেট্রো রেল।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রত্যেক স্টেশনে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজেশন মেশিন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্টেশন জীবাণু মুক্ত করা হবে তা দিয়ে। জীবাণু মুক্ত করার জন্য আনা হয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও। এছাড়াও করোনা সংক্রমণ এড়াতে, সংক্রমণ প্রতিরোধে ও মাস্কের ব্যবহারের জন্য থাকছে বিশেষ সচেতনতামূলক পোস্টার। বিধি মেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মও লাগু করা হচ্ছে।
এছাড়াও জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে স্টেশনে আসা যাবে না, আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল মেট্রোরেলের তরফে। মাস্ক পরা, নাক ও মুখ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। লিফটে মাত্র ৩ জন উঠতে পারবেন। স্টেশনে থুতু ফেললেই মোটা টাকা জরিমানা করা হবে। মাটির নীচে স্টেশনে যে সব খাবার ও পানীয়ের দোকান ছিল তা বন্ধ থাকছে। মাটির উপরের স্টেশনে দোকান থাকলে তা অবশ্য খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যথাযথ স্যানিটাইজ করে।
১৪ তারিখ থেকে সকাল ৮টা থেকে পরিষেবা শুরু হয়। মোট ১১০টি ট্রেন চলবে। তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেবলমাত্র স্মার্ট কার্ড থাকা যাত্রীরা চড়তে পারবেন। শেষ ট্রেন সন্ধ্যা ৭টায় ছাড়বে। স্টেশন কনটেমেন্ট এলাকার মধ্যে হলে বন্ধ থাকবে।রবিবার মেট্রো পরিষেবা থাকবে না। মেট্রো স্টপ সময় প্রতি প্ল্যাটফর্মে ২০ সেকেন্ডের বদলে ৩০ সেকেন্ড দাঁড়াবে।
আরও জানিয়েছে, নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ আর সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত চলবে মেট্রো। রাজ্য পুলিশ ও আরপিএফ কো অর্ডিনেশন করে ই-পাস চেক করে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। মেট্রো অফিসিয়ালরা আই কার্ড দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে ই-পাস সংগ্রহ করছেন। ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের ভেতরে প্রবেশের বিশেষ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রয়োজন হচ্ছে না ই-পাসের।
৫ টাকার কাজে ১ টাকা কাটমানি! নিজের গড়ে অনুব্রতর স্বীকারোক্তিতে জল্পনা