যাত্রী চাপ কমাতে মেট্রোর সময়সীমার পরিবর্তন! ই-পাসের নিয়মেও বদল
করোনার আতঙ্ককে পিছনে ফেলে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। যার জেরে যাত্রী চাপ বাড়ছে কলকাতা মেট্রোয় (kolkata metro rail) । এবার সেই চাপ কিছু কমাতে সময়সীমায় পরিবর্তন ঘটাতে চলেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সামনের সোমবার থেকে নতুন সময়সূচি কার্যকর হবে। পাশাপাশি ই-পাসের নিয়মেও পরিবর্তন আসতে চলেছে বলেও জানানো হয়েছে।

প্রথম মেট্রো সকাল সাতটা
সাম্প্রতিক সময়ে সকাল সাড়ে আটটা থেকে মেট্রো চলাচল শুরু হত। এদিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে আটটার বদলে প্রথম মেট্রো চলা শুরু করবে সকাল সাতটায়। এছাড়াও শেষ মেট্রোর সময়ও বদল করা হয়েছে। বর্তমানে নোয়াপাড়া থেকে রাত নটায় শেষ মেট্রো ছাড়ে। আগামী সোমবার থেকে নোয়াপাড়া থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯ টা ২৫-এ। সেটি দমদম থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে নটায়।

বাড়ছে রেকের সংখ্যা
সব কিছু স্বাভাবিক হওয়ার পথে। বাসের ভিড় এড়াতে অনেকেই মেট্রোকেই বেছে নিচ্ছেন। ফলে অফিস টাইমে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব মেনে বাড়ানো হচ্ছে মেট্রোর রেকের সংখ্যা। বর্তমানে সারাদিনে ১৯০ টি মেট্রো যাতায়াত করে। সোমবার থেকে সেই সংখ্যাটা ১৪ বেড়ে হবে ২০৪ টি।

ই-পাসের নিয়মে মদল
অনেকেই এখনও ই-পাসের নিয়ম রপ্ত করে উঠতে পারেননি। ফলে মেট্রোয় যাতায়াতের সুযোগ হারাচ্ছেন তাঁরা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কানেই গিয়েছে। এদিন নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত ইপাসের প্রয়োজন হবে না। অন্যদিকে রাত আটটাপর পরে যাতায়াত করলেও ই-পাসের প্রয়োজন হবে না। এছাড়াও প্রবীণ নাগরিক, ১৫ বছরের কমবয়সী এবং মহিলাদের জন্য সারাদিন ইপাসের প্রয়োজন হবে না বলেও জানানো হয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণায় অনেক যাত্রীর সুবিধা হবে। তবে মেট্রো সূত্রে খবর, এখনই টোকেন চালু করা হচ্ছে না।
এদিকে নতুন বছরের শুরুতে ইপাস তুলে নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিক, মহিলা ও শিশুদের ইপাস লাগবে না বলে জানিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাতে মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে।

১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল মেট্রো চলাচল
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সুরক্ষা বিধি মেনে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল মেট্রো চলাচল। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিটি স্টেশনে বসানো হয়েছিল স্যানিটাইজেশন মেশিন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্টেশন জীবাণু মুক্ত করাও হচ্ছে। এছাড়াও মাস্কের ব্যবহারের জন্য সচেতনতামূলক পোস্টারও রাখা হয়েছে জায়গায় জায়গায়। সেই সময় মোট ১১০ টি চালানো হয়েছে। পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেই সময়ই জানানো হয়েছিল কেবল স্মার্টকার্ড থাকা যাত্রীরা ট্রেনে চড়তে পারবেন।

অধিকারী গড়ে মমতার সভার আগেই শুভেন্দু দিতে চলেছেন বড় দান! রুদ্ধশ্বাস রাজনৈতিক কাউন্টডাউন শুরু