স্ত্রী রত্না 'অসৎ উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢুকেছে', পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ মেয়র শোভনের
শোভন নতুন করে স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে থানায় একবার নয়, দু'বার অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের। এই বিবাদ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। দলের মধ্যেও এমনকী দলনেত্রীর বকুনিও খেতে হয়েছে শোভনকে। যদিও বিচ্ছেদ ঠেকানো যায়নি। দুজনেই একে অপরকে ছেড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এসবের মাঝেই শোভন নতুন করে স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে থানায় একবার নয়, দু'বার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শোভনের অভিযোগ, রত্না ও ঝুমা সাহা নামে এক জনৈক মহিলা গত ১৯ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে অসৎ উদ্দেশ্যে ঢুকে পড়েছেন। বাড়িতে ঢুকতে গেলে মেয়রের নিরাপত্তাকর্মীদের বলে লগবুকে সই করে অনুমতি নিয়ে ঢুকতে হয়।
সেইসব কিছুই দুজনে না মেনে জোর করে বাড়িতে ঢুকে পড়েন বলে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্ণশ্রী থানায় মেয়র শোভন অভিযোগ জানান। সেই ঘটনার পাঁচদিন পরে ফের পর্ণশ্রী থানায় আগের চিঠির রেফারেন্স টেনে শোভন পুলিশের ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেন।
নিজের মেয়র প্যাডে অভিযোগ করে শোভন লিখেছেন, আগেরবার অভিযোগ জানানোর পরও রত্না ও ঝুমা সাহা নামে এক মহিলা জোর করে তাঁর দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। পুলিশ কেন আগের অভিযোগের পরে ব্যবস্থা নেয়নি তা নিয়েও চিঠিতে সরব হন শোভন।
প্রসঙ্গত স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ওরফে রত্না দাসের বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসা ও নিষ্ঠুর ব্যবহারের অভিযোগ এনে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি রত্নাদেবীর চাহিদা পূরণ করতে না পারাকেও কারণ হিসাবে আদালতে ব্যাখ্যা করেছেন শোভন। তার আগে বেশ কয়েকবার নারদ মামলায় ইডি জেরা করেছে শোভন ও রত্নাকে। তারপরই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর সামনে আসে।