লকডাউন নিয়ে বিভ্রান্তি আর গুজবে দিশেহারা কলকাতা, শহরের সমস্ত বাজারে কেনাকাটার হিড়িক
লকডাউন নিয়ে বিভ্রান্তি আর গুজবে দিশেহারা কলকাতা, শহরের সমস্ত বাজারে কেনাকাটার হিড়িক
লকডাউন থেকে আনলক হতে না হতেই দেশে হু হু করে বেড়েছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে করোনা পরিস্থিতি। এই অবস্থায় রাজ্যের সমস্ত কনটেইনমেন্ট জোনে ফের লকডাউন ঘোষণা করে রাজ্য। এদিকে এই খবর সামনে আসতেই ফের আতঙ্কে কাটা শহরবাসী। সম্পূর্ণ শাটডাউনের গুজবে মেতেই কলকাতার বাজারে দেখা যায় মানুষের ঢল।
মুদির দোকানে লম্বা লাইন
করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের ঘোষণা হতে না হতেই, শহরজুড়ে মুদির দোকানের সামনে দেখা গেল লম্বা লাইন। আগামী ৭ দিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত রাখতে সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই মুদির দোকানে ভিড় জমায় শহরবাসী। এই প্রসঙ্গে বেহালার এক চাল ব্যবসায়ী অনিল পাত্র জানান, "প্রায় তিন মাস দোকানে এমন লাইন দেখলাম, মাত্র দু'ঘন্টা তেই বিক্রি হয়েছে ৫০০০ কেজি চাল"।
কনটেইনমেন্ট জোন নিয়ে বিভ্রান্তি
রাজ্যে কেবলমাত্র কনটেইনমেন্ট জোনেই লকডাউনের ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু কোন কোন অঞ্চল কনটেইনমেন্ট জোনের আওতায় রয়েছে সেই নিয়ে বিভ্রান্তি থাকায় গোটা শহরবাসীই কার্যত ভীড় জমিয়েছেন দোকান-বাজারে। সকাল ৮ টায় কলেজস্ট্রীটের বাজারে পৌঁছে যাওয়া প্রেমচাঁদ বোড়াল স্ট্রীটের বাসীন্দা দেবব্রত ঘোষ জানান, 'আমি কোনোও ঝুঁকি নিতে চাইনা, আমার এলাকাও যদি কনটেইনমেন্ট জোনের আওতায় চলে যায় তখন করার কিছুই থাকবেনা, এমনকি ভ্রাম্যমাণ খুচরো বিক্রেতারাও এলাকায় যাবে কিনা সেই সম্পর্কে কোনোও তথ্য নেই'।
বাজার বসতেই 'স্টক আউট' সবজী!
কলেজস্ট্রীটের বাজারে সকাল ৯ টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় প্রায় সমস্ত সবজী, এমনটাই জানায় বাজারের সবজী বিক্রেতারা। ঐ বাজারের এক সবজী বিক্রেতা আফজাল মোল্লা জানান, যারা এতদিন ২ রকমের সবজী কিনত তারাও নাকি বেশি পরিমাণে সমস্ত ধরণের সবজী কিনেছেন এই দুদিনে।
চাহিদা বাড়ায় চলছে কালোবাজারি
হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় সুযোগ বুঝে কিছু অসৎ খুচরা ব্যবসায়ীরা চড়া দামেই বিকোচ্ছেন পণ্য। দুদিন আগে যে সরষের তেল ১২০ টাকায় কেনা গেছে তা বুধবার বিক্রি হয়েছে ১৩৫ টাকায়, বেড়েছে ডাল মশলাপাতির দামও। পর্ণশ্রীর বাসীন্দা অলোক মৈত্রের অভিযোগ, "আমরা রোজ কেনাকাটা করি, তাই দাম বাড়া কমা আমরা সহজেই ধরতে পারি"। এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীদের উপর কড়া নজরদারি রাখছেন মার্কেট টাস্ক ফোর্স। কোনোও অসৎ ব্যবসায়ী ধরা পড়লে তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান এই সংস্থার আধিকারিকেরা।
সচেতনতার প্রচারের নামে রোগকে ডেকে আনা হচ্ছে! করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বিস্ফোরক অশোক