সিএএ বিরোধিতায় অংশ নেওয়া যাদবপুরের পোলিশ ছাত্রের আপাত স্বস্তি
সিএএ বিরোধিতায় অংশ নেওয়া যাদবপুরের পোলিশ ছাত্রের আপাত স্বস্তি
যাদবপুরের পোলিশ ছাত্রের আপাতত স্বস্তি। এই দেশে তিনি থাকবেন কি না তার নির্দেশ মিলবে ১৮ মার্চ। ততদিন তার বিরুদ্ধে কোন কড়া পদক্ষেপ নয় বলে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ভালো ছাত্র, সন্দেহ নেই কিন্তু তার মানে ভারতের সার্বভৌমত্বের উপর প্রশ্ন তুলবে এমন কাজ সমর্থন যোগ্য নয়। দেশের নাগরিক নয় তাই বাক স্বাধীনতার অধিকারী নয়, তাই সরকার বিরোধী মিটিংয়ে অংশ নিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন ওই ছাত্র। হাইকোর্টে এই প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি বলেন সংবিধানের ১৯ নং ধারা শুধুমাত্র নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য।
ভিসা নিয়ম ১৪ সি অনুযায়ী বিদেশীরা সরকার বিরোধী কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। লোকসভা আইন পাশ করলে তার বিরোধিতাও কোন বিদেশী করতে পারেন না।
মামলাকারীর আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র এর বিরোধিতা করে বলেন পৃথিবীর বৃহত্তম সংবিধান ভারতের। সেখানে কোন বৈষম্য নেই। মৌলিক অধিকারের ১৪,২০,২১,২২ সব ধারা প্রযোজ্য যিনি নাগরিক নন তাদের জন্যও। পোলান্ড ছাত্র মিটিংএ থাকলেও কোন বিপ্লবী মানসিকতা দেখাননি। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ আমলে ফরেনার্স অ্যাক্ট তৈরি হয়েছিল। সেটা কি আদৌ এই যুগে প্রযোজ্য?
জয়ন্তবাবু
বলেন,
সময়ের
সঙ্গে
আইনের
বদল
হয়।
সমাজকে
দেখেই
আইন
তৈরি
হয়।
তাই
এই
আইনের
বদল
সময়
অনুসারে
দরকার।
ফলে
নোটিশ
ছাড়া
যখন
তাকে
দেশ
ছাড়তে
বলা
হচ্ছে,আসলে
তখন
বৈষম্য
প্রকাশ
করা
হচ্ছে।
বিচারপতি
সব্যসাচী
ভট্টাচার্য
উভয়পক্ষের
বক্তব্য
শুনে
আগামী
১৮
মার্চ
রায়
দেবেন
বলে
জানিয়েছেন।
ততদিন
তার
বিরুদ্ধে
কোন
পদক্ষেপ
নেওয়া
যাবে
না।