হাইকোর্টে খারিজ রাজ্যের অপসারণের নির্দেশ, চাকরি বাঁচল মৌলানা আজাদের উপাচার্যের
হাইকোর্টে খারিজ রাজ্যের অপসারণের নির্দেশ, চাকরি বাঁচল মৌলাানা আজাদের উপাচার্যের
কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের। মৌলানা আজাদ কলেজের উপাচার্যের চাকরি খারিজের নির্দেশিকা বাতিল ঘোষণা করল আদালত। উপাচার্য সৈকত মিত্রকে অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে পুনরায় কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রাজ্য সরকারের চাপ বেড়েছে তারপরে আবার হাইকোর্টে উপাচার্যের চাকরি খারিজের নির্দেশিকা বাতিল হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের।
গত
২৯
জুলাই
কলকাতার
মৌলানা
আবুল
কালাম
আজাদ
ইউনিভার্সিটি
অফ
টেকনোলজির
উপাচার্য
সৈকত
মৈত্রের।
অপসারণের
নির্দেশিকা
জারি
করেছিল
রাজ্য
সরকার।
সেই
নির্দেশিকাকে
চ্যালেঞ্জ
জানিয়ে
হাইকোর্টের
দ্বারস্থ
হন
উপাচার্য।
চার
বছর
ধরে
মৌলানা
আবুল
কালাম
আজাদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য
পদে
রয়েছেন
তিনি।
সম্প্রতি
তাঁর
মেয়াদও
বৃদ্ধি
করা
হয়।
কিন্তু
হঠাৎই
গত
২৯
জুলাই
একটি
বিজ্ঞপ্তি
জারি
করে
রাজ্য
সরকার।
সেখানে
অবিলম্বে
তাঁকে
উপাচার্য
পদ
থেকে
সরে
যেতে
বলা
হয়।
অর্থাৎ
উপাচার্য
পদ
থেকে
পদত্যাগ
করতে
বলা
হয়।
কিন্তু কেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হঠাৎ করে এই নির্দেশিকা জারি করা হল তার কোনও সঠিক ব্যাখ্যা বা কারণ উল্লেখ করা হয়নি। বা সৈকত মৈত্রকে জানানো হয়নি। মেয়ার বাড়ানোর পরে কেন হঠাৎ করে তাঁকে পদ থেকে সরতে বলা হচ্ছে তা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। সৈকত মৈত্রের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না মেনেই তঁকে পদ থেকে সরনোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেকারণেই রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি হইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
মেয়াদ
শেষ
হওয়ার
আগেই
কেন
তাঁকে
অপসারণ
করা
হচ্ছে
তারই
প্রতিবাদে
তিনি
আদালতে
মামলা
করেছিলেন।
বিজ্ঞপ্তি
খারিজের
দাবিও
জানিয়েছিলেন
তিনি।
বুধবার
মামলার
শুনানি
থাকলেও
পরে
সেটা
স্থগিত
রাখা
হয়েছিল।
তরপরেই
বৃহস্পতিবার
বিচারপতি
কৌশিক
চন্দ
উপাচার্যের
আবেদন
কে
মান্যতা
দিয়ে
রাজ্য
সরকারের
নির্দেশিকা
খারিজ
করে
দেয়।
আদালতে
একপ্রকার
মুখ
পুড়ল
রাজ্য
সরকারের।
চার দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা! শুক্রবার মোদীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা, একনজরে সফরসূচি
রাজ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথম থেকেই চাপে রয়েছে রাজ্য সরকার। এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি এবং বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের একাধিক স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিিনময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কলেজে িনয়োগের ক্ষেত্রেও একাধিক দুর্নীতি উঠে আসছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময়ই কোটি টাকা িনয়ে রাজ্যের ৭ জন অধ্যাপককে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।