৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয়, ঝালদার পুরবোর্ড গঠনের আগে নির্দেশ হাইকোর্টের
৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয়, ঝালদার পুরবোর্ড গঠনের আগে নির্দেশ হাইকোর্টের
আগামীকাল ঝালদা পুরসভায় পুরবোর্ড গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। তার আগে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন ৬ কাউন্সিলর। মিথ্যে মামলায় তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে বলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। তারপরেই শুক্রবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন ঝালদা পুরসভার পুরবোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। অর্থাৎ কংগ্রেস এবং নির্দল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
হাইকোর্টের রক্ষাকবচ
পুরবোর্ড
গঠনের
আগে
রক্ষা
কবচ
পেলেন
ঝালদা
পুরসভার
৬
কাউন্সিলর।
হাইকোর্ট
শুক্রবার
কড়া
নির্দেশ
দিয়েছে।
৭
ডিলেম্বর
পর্যন্ত
ঝালদার
কংগ্রেস
এবং
নির্দল
কাউন্সিলরদের
বিরুদ্ধে
কোনও
পদক্ষেপ
করতে
পারবে
না
পুলিশ।
এমনই
নির্দেশ
দিয়েছে
কলকাতা
হাইকোর্টে।
বিচারপতি
জয়মাল্য
বাগচি
ঝালদা
পুলিশকে
নির্দেশ
দিয়েছে
৭
ডিসেম্বর
পর্যন্ত
বিরোধী
দলের
অর্থাৎ
কংগ্রেস
এবং
নির্দল
কাউন্সিলরদের
কাউকে
গ্রেফতার
করতে
পারবে
না
পুলিশ।
আদালতে
বিরোধী
দলের
কাউন্সিলররা
অভিযোগ
করেছিল
পুরবোর্ড
হাতছাড়া
হওয়ার
পর
থেকে
তাঁদের
মিথ্যে
মামলায়
ফাঁসাচ্ছে
শাসক
দল।
পুরবোর্ড গঠন করবে কংগ্রেস
ঝালদা পুরসভা নিয়ে শাসক দলের সঙ্গে কংগ্রেসের চরম টানাটানি। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসই বোর্ড গঠন করছে। আস্থা ভোটে জয় হয়েছে কংগ্রেসরই। আগামীকাল বোর্ড গঠন করার কথা। তার আটে টান টান উত্তেজনা রয়েছে ঝালদায়। শাসক দলের নেতা এবং কাউন্সিলররা কংগ্রেস এবং নির্দল কাউন্সিলরদের ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। হাইকোর্টের রায়ের পর কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা। ১২ আসনের ঝালদা পুরসভার ৫ কংগ্রস কাউন্সিলর রয়েছে। ২ নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে পুরবোর্ড গঠন করছে কংগ্রেস।
ঝালদায় আস্থাভোটে জয় কংগ্রেসের
পুরভোটে পর ত্রিশঙ্কু হয়েছিল ঝালদার পুরবোর্ড। তারপরেই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের মাঝেই এক নির্দল কাউন্সিলর যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তার পর এক প্রকার ডামাডোলের মাঝেই পুরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠনের ৮ মাসের মধ্যেই ফের নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে। তারপরেই বদলে যায় গোটা পরিস্থিতি। আস্থা ভোট নিয়েও হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। শেষে কংগ্রেসরই জয় হয়েছে।
তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ড
পুরসভা ভোটের পর একাধিক জায়গায় কাউন্সিলরদের হত্যা করা হয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম ঝালদা। ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়। সুপারি কিলার দিয়ে তপন কান্দুকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শাসক দলের হাত রয়েছে বলে দাবি করে পরিবার। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু অভিযোগ করেছেন তপন কান্দুর উপরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তারপরেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।
গৃহপ্রবেশের দিনেই ১০ তলা থেকে পড়ল শিশু, আবাসনের নিরাপত্তা নিয়ে বিক্ষোভ আবাসিকদের