প্রাথমিকে ১৪০ জনের চাকরি বাতিল, বেতন বন্ধেরও সুপারিশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
প্রাথমিকে ১৪০ জনের চাকরি বাতিল, বেতন বন্ধেরও সুপারিশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
ফের ১৪০ জনের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অনড় থেকেছেন চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে। এই মর্মে নির্দেশ জারি করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন চাকরি বাতিলের পাশাপাশি বেতন দেওয়াও বন্ধ থাকবে।
বুধবার প্রাথমিকে ১৪০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও বহাল থাকবে। এর আগে প্রাথমিকে মোট ২৬৮ জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান ২৬৮ জন।
এরপর সুপ্রিম কোর্টে তাঁরা ধাক্কা খান। সুপ্রিম কোর্টে ২৬৮ জনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করার। নিজেদের বক্তব্য পেশ করার জন্য ২৬৮ জনকে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো মামলা হাইকোর্টে ফিরতেই এবার চূড়ান্ত ধাক্কা খেলেন চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা।
এর আগে ৫৪ জন প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার ১৪০ জনের চাকরি বাতিল নির্দশ বহাল রাখলেন তিনি। ফলে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও বাতিল হওয়া চাকরি ফেরাতে পারছেন না প্রার্থীরা। ফরে হাইকোর্টে ফিরে চাকরি বাতিল বহাল থাকছে।
এদিন আরও ৫৯ জনের হলফনামা জমা পড়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এদিন মামলাকারীদের সব হলফনামা দেখার পর উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সব প্রার্থীরই একটি মেসেজে সাদৃশ্য রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গচবছর ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৫৯ জনের হলফনামা জমা পড়ার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তাঁদের মামলাটি বৃহস্পতিবার শুনবেন তিনি। তারপর রায় দেবেন।
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে স্থান দিতে হবে ট্রান্সজেন্ডারদেরও। সেই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে এদিন। ট্রান্সজেন্ডার দের জন্য টেট পরীক্ষার কোনও বিশেষ স্থান নেই বা আলাদা কোনও কোটা নেই।সাংবিধানিক অধিকার থাকলেও তাঁরা কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক ট্রান্সজেন্ডার পরীক্ষার্থী।
ওই ট্রান্সজেন্ডার পরীক্ষার্থীকে মামলা করা অনুমোদন দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানিয়েছেন, যে কোনওরকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে ট্রান্সজেন্ডারদের বিশেষ কোন জায়গা নেই। তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যে ফর্ম দেওয়া হয় সেখানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য আলাদা করে কোন অপশন নেই। তাই হাইকোর্টে হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলাটি শোনার পর রায় দেবেন বলে জানিয়েছেন।