প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হলফনামা তলব হাইকোর্টের
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হলফনামা তলব হাইকোর্টের
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে আদালতের আগেরদিনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ ডিসেম্বর।
প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২৩ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। রাজ্যের জারি করা এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন টেট উত্তীর্ণ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। চলতি সপ্তাহে সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ২০১৪ প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুলের কারণে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের টেট উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়, সেই উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সমস্ত নথি অনলাইনে যাচাইয়ের সুযোগ দিতে হবে। যদি অনলাইনে অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে ওই মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা সরাসরি নথি জমা করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।
এই
সংক্রান্ত
একই
মামলাতে
কলকাতা
হাইকোর্টের
দ্বারস্থ
হন
আরো
বেশকিছু
চাকরিপ্রার্থী
সেই
মামলায়
আদালতের
এই
নির্দেশ
যথাযথভাবে
মানা
হচ্ছে
কিনা
তা
নিয়ে
প্রাথমিক
শিক্ষা
পর্ষদের
কাছে
হলফনামা
তলব
করেন
অরিন্দম
সিনহা।
মামলাকারির
আইনজীবী
সালোনি
ভট্টাচার্য
জানান,
মামলাকারি
চাকরিপ্রার্থীদের
দাবি,
রাজ্যের
জারি
করা
নতুন
বিজ্ঞপ্তি
নিয়ে
সংশয়
তৈরি
হয়েছে
চাকরিপ্রার্থীদের
মধ্যে।
তাই
সেটাকে
চ্যালেঞ্জ
করে
মামলা
দায়ের
করা
হয়।
নতুন করে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তা খারিজ করার দাবি জানিয়েছেন মামলাকরি চাকরিপ্রার্থীরা। কারণ নিয়োগ সংক্রান্ত আগেই বিজ্ঞপ্তি রয়েছে, তাহলে নতুন করে আবার কেন বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি, তাদের আরও দাবি, জারি হওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যথেষ্ট বেনিয়ম রয়েছে। কত সংখ্যক শূন্যপদ, তা উল্লেখ না করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এছাড়াও কোন সংবাদপত্রের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি বলে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারিরা।
তবে এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের কৌঁসুলি আদালতে দাবি করেন, নতুন করে নিয়োগের জন্য এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। ২০১৪ র উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। অনেকেরই নথি যাচাই হয়নি। সেই সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।
আদালতে এবিষয়ে রাজ্যের কাছে জানতে চায়, এর আগের হাইকোর্টের নির্দেশ অতিরিক্ত ছ নম্বর পেয়ে যে সমস্ত পরীক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ? কিন্তু তার প্রেক্ষিতে উত্তর দিতে পারেনি সরকারি কৌঁসুলি। আদালত সে বিষয়ে বিষয়েও জানার জন্য তাকে নির্দেশ দিয়েছে।