ঝাঁকুনিতে খুলে আসে হাড়-গোড় - মেয়রের গর্ব, দেশের সেরা রাস্তা এই শহরের
বর্ষায় বেহাল দশা কলকাতার রাস্তার, অথচ মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি কলকাতার মতো এত ভাল রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ ভারতবর্ষের কোথাও হয় না!
বর্ষায় শহরের রাস্তা জুড়ে ছোট, বড়, মেজো নানান আকারের গর্ত তৈরি হয়েছে। বাসে-গাড়িতে য়াতায়াত করতে গিয়ে ঝাঁকুনিতে হাড়গোড় খুলে যাওয়ার জোগার শহরবাসীর। অথচ মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি কলকাতার মতো এত ভাল রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ ভারতবর্ষের কোথাও হয় না!
মঙ্গলবার কলকাতা পুরোসভার মাসিক বৈঠকে কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় কলকাতার রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানতে চান কবে থেকে বর্ষায় ভেঙে যাওয়া কলকাতার রাস্তায় তাপ্পি মারা বন্ধ করে পুর্ণাঙ্গ সারাইয়ের কাজ শুরু হবে?
তাঁর এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই মেয়র কলকাতার রাস্তা নিয়ে গর্ব করেন। অবশ্য বর্ষা না গেলে যে পুর্ণাঙ্গ সারাইয়ের কাজে হাত দেওয়া হবে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শোভন। তাঁর মতে এতে তহবিল নষ্ট ছাড়া কিছু হবে না। কারণ বর্ষায় রাস্তা তৈরি করলে তা টেকে না।
[আরও পড়ুন:'বিপাকে' বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়! গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি]
তবে তাঁর দাবি রাস্তা সারাইয়ের বিশেষ প্রয়োজনও নেই। তিনি বলেন, 'সমগ্র দেশের মধ্যে সেরা রক্ষণাবেক্ষণ করা রাস্তা হিসেবে কলকাতা গর্ব করতে পারে। আমি কে.এম.সি-র কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। তাদের নিজেদের ওয়ার্ডের রাস্তা সম্পর্কে কোনও অভিযোগ নেই।'
তাঁর বক্তব্য অবশ্য মানতে চাননি বিরোধী কাউন্সিলররা। সিপিআইএম-এর কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন, শহরের বিভিন্ন রাস্তা সারাইয়ের জন্য সিভিক রোড ডিপার্টমেন্টের কাছে বারবার আবেজন করা হলেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। সিপিআইএম কাউন্সিলর চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, দেশপ্রাণ শাসমল রোড, এনএসসি বোস রোড-সহ টালিগঞ্জ এলাকার একাধিক রাস্তায় তাপ্পি মারার পরও বড় বড় গর্ত রয়ে গিয়েছে। কেএমসি কর্তারাও মেনে নিয়েছেন রাস্তায় তাপ্পি মারার কিছু কাজ হলেও এখনও অনেক জায়গাতেই রাস্তার হাল খুবই খারাপ।
[আরও পড়ুন:বিজেপি বিরোধী কর্মসূচি! ফের দিল্লি যাচ্ছেন মমতা]