রাস্তায় যুবকের বুকে পা, বরখাস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার! দুঃখপ্রকাশ করে ওসিকে তলব পুলিশ কমিশনারের
রাস্তায় যুবকের বুকে পা, বরখাস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার! দুঃখপ্রকাশ করে ওসিকে তলব পুলিশ কমিশনারের
প্রথমে চোর সন্দেহে এক যুবককে বাস থেকে নামানো হয়। তারপর শুরু হয় মারধর। এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer) ওই যুবকের বুকে পা তুলে দেওয়ার ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরেই পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner) এই ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়ে, সাউথ গার্ডের ওসিকে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়েছেন।
ঘটনাটি রবিবার সন্ধের
জানা গিয়েছে ঘটনাটি রবিবার সন্ধেয় এক্সাইড মোড়ের। এক যুবককে লক্ষ্য করে বাস থেকে চোর চোর বলে চিৎকার করেন যাত্রীরা। এরপর নামার সময়েই তাকে মারধর শুরু হয়ে যায়। এক্সাইড মোডে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নেন। তবে ঘটনাটি এখানেই শেষ নয়, এই হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই ওই যুবককে মারধর করা হয়।
অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার
ওই যুবককে রাস্তা ফেলে সিভিক ভলান্টিয়ারের মারধরের ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বেঙ্গলি)। সেখানে দেখা গিয়েছে এক্সাইড মোড়ে রাস্তার ওপরে এক যুবক পড়ে রয়েছে। তার বুকের ওপরে বুট পরে পা তুলে রয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। যতবারই সেই যুবক পা সরানোর চেষ্টা করছে, ততবারই তাকে রাস্তা শুইয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্তের সাফাই
অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম তন্ময় বিশ্বাস। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে সে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, রবিবার সন্ধেয় হাওড়াগামী একটি বাস থেকে চোর চোর বলে চিৎকার শোনেন তিনি। এক যুবক বাস থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে যাত্রীরাই তাকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় মারধর। সেই সময় ওই যুবককে তন্ময়ই বাঁচান বলে দাবি করেছেন। তার আরও দাবি, সেই সময় পালানোর চেষ্টা করেছিল, তাই ওই যুবককে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়।
দুঃখপ্রকাশ করেছেন পুলিশ কমিশনার
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়ে সাউথ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ও কর্তব্যরত সার্জেন্টকে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। কেন এবং কীভাবে এই অমানবিকা ঘটনা ঘটল তা জানতে চাওয়া হবে, বলেছেন সৌমেন মিত্র। পাশাপাশি শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনার তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার সময় এক্সাইড মোড়ে অন্য পুলিশ কর্মীরা এবং আধিকারিকরা উপস্থিত থাকলেও, কেন তাঁরা এই ছবি দেখে এগিয়ে গেলেন না সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে আমেরিকার মেনিয়াপোলিশের ঘটনার তুলনা করে বলেছেন, একটুর জন্য বেঁচে গেল কলকাতা।