কাতার বিশ্বকাপ, বিদ্যুৎ পরিবহণ ঠিক রাখবে কলকাতার সংস্থা
কাতার বিশ্বকাপে যাচ্ছে সংস্থার ট্রান্সফরমার। ৩০০০ এমন ট্রান্সফরমার যাচ্ছে এখান থেকে। এর মাধ্যমেই কাতারে যে বিশ্বকাপ হচ্ছে তার যে ইলেকট্রিসিটি সেটা সুরক্ষিত হবে এই ট্রান্সফরমারের মাধ্যমেই। বিএমসি ইলেকট্রোপ্লাস্ট একটি এমএসএমই সংস্থা। এটি ভোলটেজ এবং কারেন্ট সাপ্লাই করে। এগুলি পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কাতার বিশ্বকাপের জন্য।
সংস্থা জানিয়েছে যে, "আমরা মোট ভোল্টজের ৫০ শতাংশ এই ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে দেবো। এগুলি সুইচগিয়ার বোর্ড বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য কাজ করে। অন্তর্বর্তী ইলেক্ট্রিক কন্ট্রোলের জন্য এটা কাজ করবে। তবে এতে কত অর্থ আমরা পেয়েছি সেটা যত না গুরুত্বপূর্ণ তার থেকে বেশি আনন্দের বিষয় এবং গর্বের বিষয় হল আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং পার্ট একটা বিশ্বমানের ইভেন্টে ব্যাবহার হবে।"
এই যে চুক্তি হয়েছে তার মূল্য ৩৫ কোটি টাকা। যে এজেন্সি কাতার বিশ্বকাপে আমাদের এই পণ্য যাওয়ার জন্য নিশ্চিত করেছে তার নাম "কাহারমা"। এই অর্ডারের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, সংস্থা বলেছে, "আমাদের কাজ করা শুর্য হয়েছে ২০১০ সালে। ট্যামকো সুইচগিয়ার দিয়ে আমরা কাজ করতাম। তারপর ধীরে ধীরে এই জায়গায় কাক করছি।"
ফিফা বিশ্বকাপ শুরু নভেম্বরের ২০ তারিখ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফুটবলপ্রেমীদের স্বাগত জানাতে তৈরি কাতার। প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ বিশ্বকাপের সময় কাতারে উপস্থিত থাকবেল বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য হোটেল। চলছে ফিনিশিং টাচের পালা।
ইতিমধ্যেই অতিথিদের জন্য নানা পরিষেবার ডালি নিয়ে প্রস্তুত দোহার ওয়েস্ট বে-র ক্যাফেগুলি। নতুন হোটেলগুলির দ্বার একে একে খুলে যাচ্ছে। নজর কাড়ছে স্ট্রিট আর্ট। রাস্তার দুই ধার সুসজ্জিত হয়ে উঠেছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের জাতীয় পতাকায়। সদ্য কাজ সমাপ্ত হয়েছে ৩০ তলা টাওয়ার ব্লকের। সেখানে কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাফাইকাজ চালাচ্ছেন। দোহার বেশিরভাগ জায়গাতেই পরিকাঠামোগত কাজকর্ম শেষ হয়ে গেলেও সমুদ্র তীরবর্তী ওয়েস্ট বে ও সংলগ্ন অঞ্চল এবং নতুন শহর লুসেল, যেখানে ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনাল হবে, সেখানে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তবে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল খালিদ আল-মাওলয়ি সাংবাদিকদের জানিয়ছেন, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এপ্রিল মাসে ওয়েস্ট বে-তে নবনির্মিত টাওয়ার কংক্রিটের কঙ্কাল ছাড়া কিছু ছিল না। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় একে একে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল ক্রেন।