চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ, এরপর কী? বিপুল ক্ষতির আশঙ্কায় প্রহর গুণছে শহরের চিনা খেলনার কারবারিরা
চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ, এরপর কী? বিপুল ক্ষতির আশঙ্কায় প্রহর গুণছে শহরের চিনা খেলনার কারবারিরা
নিষিদ্ধ হয়েছে চিনা অ্যাপ। এরপর কোন পথে এগোেব মোদী সরকার। এই নিয়ে যেন প্রমাদ গুণছেন শহরের চিনা খেলনার কারবারিরা। সিকিম সীমান্ত িদয়ে হাজার হাজার কোিট টাকার খেলনা আসে শহরে। আপাতত সেসব বন্ধ। ঘরে ঘরে খেলনার আকাল পড়বে রাজ্যে। বিশেষ করে ১০ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য সাধারণের আয়ত্তে থাকা খেলনা মিলবে না বাজারে।
নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপ
লাদাখ নিয়ে অশান্তির জেরে চিনকে ভাতে মারতে মরিয়া ভারত। তথ্য পাচারের অভিযোগে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে মোদী সরকার। তারমধ্যে টিকটক, ইউচ্যাটের মতো জনপ্রিয় অ্যাপও রয়েছে। এমনকী চিনা ই-কমার্স সাইটেও কোপ পড়েছে যার জেরে।
চিনা খেলনার বাজার
চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার পর চিনা খেলনার কারবারিকা আতঙ্কে রয়েছে। কারণ কলকাতা শহরের অধিকাংশ বাজারেই চিনা খেলনা রমরমা। রাজ্যের ৮০ শতাংশ খেলনা আমদানি করা হয়। তারমধ্যে সিংহভাগ আমদানি হয় চিন থেকে। এছাড়া মালয়েশিয়া, হংকং, ব্রিটেন এবং জার্মানি থেকে আমদানি করা হয়। ব্যাটারি চালিত, রিমোর্ট কন্ট্রোল গাড়ি খেলনা অধিকাংশই আসে চিন থেকে।
কলকাতায় চিনা খেলনা
সিকিম সীমান্ত দিয়েই অধিকাংশ চিনা খেলনা আমদানি করা হয়। ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার চিনা খেলনার বাজার শুধু রয়েছে কলকাতা। শহর থেকে উত্তর পূর্ব ভারত এমন কী উত্তর প্রদেশেও যায় এই চিনা খেলনা। এই চিনা খেলনা বেচে বছরে মোটের উপর ২০০০ কোটি টাকা আসে শহরের খেলনা ব্যবসায়ীদের হাতে। এই চিনা খেলনার ২০০০টি পাইকারি দোকান রয়েছে শহরে। রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে ৫০০০ পাইকারি দোকান।
চিনা খেলনার বাজারে ধাক্কা
লাদাখ নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিনের বিবাদের জেরে সীমান্ত বন্ধ। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমদানি রপ্তানি বাজারে। তার উপরে আবার চিনা সামগ্রী বয়কটের হুজুকে আরও চাপ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। অনেকেই চিনা খেলনা কিনতে চাইছেন না। তাতেত একদিকে যেমন মজুত মাল বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অন্যদিকে আবার আমদানি বন্ধ হওয়ায় ক্রেতার চাহিদা মেটাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এই নিয়ে প্রবল টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হলেও শান্তি নেই! ফের চিনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে মোদী সরকারকে তোপ রাহুল গান্ধীর