ভার্চুয়ালি চিড়িয়াখানা সফর করাবে 'ই-জু' অ্যাপ, নতুন উদ্যোগ আলিপুর চিড়িয়াখানার
ভার্চুয়ালি চিড়িয়াখানা সফর করাবে 'ই-জু' অ্যাপ, নতুন উদ্যোগ আলিপুর চিড়িয়াখানার
এক মাসের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইনে আলিপুর চিড়িয়াখানা। তাই এবার সশরীরে হাজির না হয়েও আলিপুর চিড়িয়াখানার সমস্ত রকম পশু, পাখি সহ অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে খোঁজ রাখতে আনা হয়েছে মোবাইল অ্যাপ। 'ই জু কলকাতা' নামে এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আলিপুর চিড়িয়াখানার সমস্ত তথ্যই এবার মিলবে খুব সহজে। ইতিমধ্যেই তা গুগল প্লে স্টোরে তা চলে এসেছে। এখন শুধু ডাউনলোড করার অপেক্ষা।
যদিও
এখনই
আইফোন
ইউজাররা
এই
পরিষেবা
পাবেন
না।
তার
জন্য
আরও
কিছুদিন
অপেক্ষা
করতে
হবে।
চিড়িয়াখানা
কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছেন,
এই
অ্যাপের
মাধ্যমে
এখানকার
সকল
পশু-পাখীদের
বিস্তারিত
তথ্য
জানা
যাবে।
প্রসঙ্গত,
করোনা
সক্রমণের
জেরে
মার্চ
থেকেই
বন্ধ
আলিপুর
চিড়িয়াখানা।
বন্ধ
রাজ্যের
অন্য
চিড়িয়াখানাগুলিও।
তাতে
মন
খারাপ
ছিল
খুদেদের।
করোনা
পরিস্থিতিতে
ঘরবন্দী
একঘেয়েমি
জীবন,
শুধুমাত্র
কাটুন
নির্ভরতা
থেকে
বাচ্চাদেরকে
সরাতে
আগস্ট
মাস
থেকে
ফেসবুক
লাইভে
মিলবে
চিড়িয়াখানার
প্রাণীদের
দেখার
সুযোগ
করে
দিয়েছিল
চিড়িয়াখানা
কর্তৃপক্ষ।
আলিপুর
চিড়িয়াখানা
ও
দার্জিলিং
চিড়িয়াখানায়
একযোগে
এই
পরিষেবার
উদ্বোধন
করেন
পশ্চিমবঙ্গের
বনমন্ত্রী
রাজীব
বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনলাইনে চিড়িয়াখানার দেখার সেই জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে চিড়িয়াখানার ফেসবুক লাইভ। তাই এবার সেটাকে দেখার আরো সুযোগ করে দিতে 'ই জু কলকাতা' নামে এই মোবাইল অ্যাপের এনেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
রাজীববাবু জানান, চিড়িয়াখানা বন্ধ বলে অনেকেই মন খারাপ কচিকাচাদের সেই আক্ষেপ মেটাতে ফেসবুক লাইভের ব্যবস্থা হয়। দিনে ২ বার ১ ঘণ্টা করে ফেসবুক লাইভে প্রাণীদের দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সকাল ৯টা থেকে ১০টা ও বিকেল ৩টে থেকে ৪টে। এই কদিনেই আলিপুর চিড়িয়াখানা ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ফেসবুক পেজে লাইভ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিদেশেও চিড়িয়াখানার প্রাণীদের নিয়ে ফেসবুক লাইভ নতুন কিছু নয়। অনেক চিড়িয়াখানা প্রাণীদের গতিবিধি ২৪ ঘণ্টা লাইভ স্ট্রিম করে। সেখান থেকেই এই চিন্তা ভাবনা নেওয়া হয়। তারপরেই অ্যাপ।
অ্যাপ নিয়ে উচ্ছ্বসিত আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস সামন্তও। আশিস বাবু জানান, 'প্রতিটি পশুপাখির খাঁচায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি থেকেই সরাসরি লাইভ সম্প্রচার করা হবে।' পশুশালার যাবতীয় তথ্য ও অনলাইন প্রশ্নোত্তরের ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে তিনিই থাকছেন কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকায়। তবে এর পাশাপাশি, লকডাউনের মধ্যে পশুপাখির শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ব্যাপারেও চূড়ান্ত নজরদারি চালাচ্ছেন তিনি।