বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে প্রকৃতি রূপে দেবীর আরাধনা! বেহালা নতুন সংঘের এবারের আকর্ষণ
বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তি মানব সভ্যতাকে যত আধুনিক করছে, ততই বিপদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আমাদের সভ্যতা। মানুষের সচেতনতার উদ্দেশ্য বেহালা নতুন সংঘের এবারের থিম 'বিশ্ব উষ্ণায়ন' রোধে দুর্গা আরাধনা।
বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তি মানব সভ্যতাকে যত আধুনিক করছে, ততই বিপদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আমাদের সভ্যতা। তাই মানুষের সচেতনতার উদ্দেশ্য বেহালা নতুন সংঘের এবারের থিম 'বিশ্ব উষ্ণায়ন' রোধে প্রকৃতির রূপে দুর্গা আরাধনা।
থিম যখন বিশ্ব উষ্ণায়ন
'বিশ্ব
উষ্ণায়ন'
বা
'গ্লোবাল
ওয়ার্মিং'-
এর
কারণে
যত
দিন
যাচ্ছে
ততই
ভয়াবহ
আকারে
পৃথিবীর
স্থলভাগের
উষ্ণতা
বেড়েই
চলেছে।
গরমের
ফলে
তেতে
উঠছে
পৃথিবী।
বরফের
আস্তরণ
গলছে
দুই
মেরুতে।
আর
এ
কারণেই
সমুদ্রের
জলস্তর
দিনকে
দিন
বিপজ্জনক
ভাবে
বেড়ে
গিয়ে
ক্রমশ
বিপন্ন
হয়ে
পড়ছে
মানবসভ্যতা।
আর
আবহাওয়ার
এই
তারতম্যের
জেরেই
দ্রুত
বদলাচ্ছে
পৃথিবীর
পরিবেশগত
চরিত্র।
মানুষের
লোভের
গ্রাসে
গাছ
পালা
ঘনত্ব
তলানিতে
ঠেকেছে।
একদিকে
যেমন
ঋতুচক্রের
পরিবর্তন
ঘটছে
অন্যদিকে
প্রাকৃতিক
বিপর্যয়
ও
বেড়ে
চলেছে
ব্যাপক
ভাবে।
সাম্প্রতি
কেরলের
এর
ভয়াবহ
বন্যা
পরিস্থিতি,
তার
আগে
উত্তরাখণ্ডে
একই
অবস্থা
তার
চূড়ান্ত
উদাহরণ।
শুধু
তাই
নয়
ভূমিকম্প
ও
ঘূর্ণিঝড়ের
ভয়াবহতাও
বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের
মতে,
পরিবেশের
তোয়াক্কা
না
করে
ধ্বংস
করা
হচ্ছে
সবুজ।
এমনকি
মানুষের
জন্যই
পৃথিবীর
বায়ুমণ্ডলের
অতিরিক্ত
মাত্রায়
কার্বন-ডাই-অক্সাইড
বাড়ছে।
সেই
সঙ্গে
ইট-কাঠ-পাথরের
কংক্রিটে
ঢেকে
ফেলা
হচ্ছে
শহর
থেকে
শহরতলি
এবং
গ্রাম
অঞ্চল।
তাই
আসন্ন
বিপদ
থেকে
মানুষকে
সচেতন
করতে
এই
বিশ্ব
উষ্ণায়নের
থিম
বেছে
নিয়েছে
বেহালার
নতুন
সংঘের
পুজো
উদ্যোক্তারা।
শিল্পীর ব্যাখ্যা
নতুন সংঘের শিল্পী মানস দাস জানান, মানব সভ্যতা যত আধুনিক হচ্ছে ততই তারা বিপদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই মানুষকে সচেতন করতে তাদের এই ভাবনা চিন্তা। প্রকৃতির নিজস্ব রূপ-রস-গন্ধ-প্রাণ রয়েছে, কিন্তু নানা দিক দিয়ে অজান্তে পরিবেশকে ক্ষতি করে চলেছি। এই থিমের মধ্যেই মানুষের সমস্ত ভুল পদক্ষেপগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চান তারা। তিনি আরও জানান, পরিবেশের হাতে গড়া হলেও তার ধাচে গড়া নই। কারণ আমরা নিজেদের মতো করে চলি। এ বছরের মণ্ডপ সজ্জায় যেমন বিশ্বায়নের কারণ গুলো ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে তেমনই পরিবেশের বিভিন্ন দুর্যোগের দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
পুজো উদ্যোক্তাদের ব্যাখ্যা
অন্যদিকে পুজো উদ্যোক্তাদের কথায় জানা যায়, এই বিপদ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন উপায় বাতলে দেওয়া হবে। তা হলো প্রাকৃতিক সবুজায়ন স্পষ্ট করা হবে। মানুষের ভুল পদক্ষেপের কারণেই যে আজ ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা তুলে ধরা হবে। এছাড়াও সমানভাবে আলোকপাত করা হবে যে সবুজ ধ্বংস করে তৈরি হওয়া ফ্ল্যাট কালচার, এসি মানুষের জীবনে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে তা কতটা ক্ষতিকর। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহৃত সব সরঞ্জাম স্টুডিও তৈরি হচ্ছে।
বাজেট ৩২ লক্ষ টাকা
মোট বত্রিশ লক্ষ টাকা বাজেট ধার্য হয়েছে এই পুজোয়। এবছর প্রকৃতির রূপে মা দুর্গা কে প্রতিষ্ঠা করবেন শিল্পী সনাতন দিন্দা। সব মিলিয়ে নগর জীবনে প্রকৃতি চর্চা দর্শকের কাছে শিক্ষণীয় হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা।