একাধিক রোগ রয়েছে এমন বাসিন্দাদের খোঁজে শহরের সাড়ে সাত লক্ষ বাড়িতে সমীক্ষা কেএমসির
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি এ রাজ্যেও ভালোই নিজের প্রভাব বিস্তার করেছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা ও কলকাতা এই দুই জেলা করোনা ক্ষতিগ্রস্ত বলে ইতিমধ্যেই বিবেচিত হয়েছে। কলকাতা মিউনিইপ্যাল কর্পোরেশন (কেএমসি) তাদের অন্তর্গত এলাকার সাড়ে সাত লক্ষ বাড়ি পরিদর্শন করেছে এবং সেই পরিবারের কোনও সদস্যের এক বা একাধিক রোগ রয়েছে কিনা তার তথ্য সংগ্রহ করে। এই তথ্য রাজ্য সরকারকে কোভিড পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করবে।

এই সমীক্ষা করা হয় ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কেএমসির ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়। কেএমসির এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে এই তথ্য কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার সময়ও কাজে লাগবে। তিনি বলেন, 'আমরা ৭.৩৬ লক্ষ পরিবারের তথ্য সার্ভারে আপলোড করেছি। মোট ৭.৬৯ লক্ষ পরিবারকে সমীক্ষা করা হয়েছে কিন্তু তথ্য অসম্পূর্ণ পাওয়ার কারণে এখনও পর্যন্ত ৩৪,৫০০ জন বাসিন্দার তথ্য আপলোড করা হয়নি।’
সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, 'কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রেও কলকাতা শহরের বাসিন্দাদের এই প্রস্তুত করা তালিকা কাজে দেবে।’ এই সমীক্ষায় যোগ দেয় চিকিৎসা ক্ষেত্রের পেশাদাররা, স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক, কেএমসির সদস্য এবং যে সমস্ত রোগী এই মারণ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তারা। কেএমসির আধিকারিক জানিয়েছেন যে তারা এখন এই তথ্য খতিয়ে দেখে বলবেন যে শহরের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ক’জন এক বা একাধিক রোগে আক্রান্ত ও চিকিৎসা চলছে এমন বাসিন্দাদের সংখ্যা কত।
স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, রাজ্যে বেশ কিছু কোভিড–১৯ মৃত্যুর পেছনে একাধিক রোগ বা কমোরবিডিসকে দায়ি করা হয়েছে। সংক্রমিত ব্যক্তি একা বা একাধিক রোগের শিকার হওয়ায় তার অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ সংক্রমণের প্রভাবে বিকল হয়ে যায়।
