KMC Election 2021: কেন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ভ্রাতৃবধূ কাজরী, 'ফাঁস' করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা
তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)কাছের বলেই পরিচিত ছিলেন রতন মালাকার (Ratan Malakar)। সেই রতন মালাকার এবার কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে (KMC Election 2021) তৃণমূলের টিকিট না পে
তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)কাছের বলেই পরিচিত ছিলেন রতন মালাকার (Ratan Malakar)। সেই রতন মালাকার এবার কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে (KMC Election 2021) তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তিনি, কিন্তু তা প্রত্যাহারও করেন। এদিন ফুলবাগানে নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে রতন মালাকারকে বদল করে ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Kajari Banerjee) প্রার্থী করার কারণ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মনোনয়ন দাখিল করেও প্রত্যাহার করেন রতন
প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকারের। গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিলও করেন রতন মালাকার। তবে শেষ পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় তা প্রত্যাহার করে নেন। পরে তিনি বলেছিলেন ভুল বুঝতে পেরেছেন, দলের সৈনিক ছিলেন, আছেন, থাকবেন।
প্রার্থী বদল নিয়ে ব্যাখ্যা
এদিন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে প্রথম নির্বাচনী সভায় করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুলবাগানের সেই সভায় তিনি রতন মালাকারকে প্রার্থী না করার কারণ জানান। তিনি বলেন, নিজের ওয়ার্ড হল ৭৩। কিছুদিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন গাড়ি দাঁড় করিয়ে কলের পাইপ খারাপ হওয়ার কথা জানান। সঙ্গে অভিযোগ ছিল, অনেক দিন থেকে বললেও কাজ হচ্ছে না। তখনই তিনি কাউন্সিলরকে ফোন করেন। বলেন, কীরে তোকে বলছে পাইপ সারিয়ে দিতে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, সেই সময় তিনি কাউন্সিলরকে প্রশ্ন করেন, পাইপটাও কি তিনি (মমতা) সারিয়ে দেবেন? তাঁর প্রশ্ন, তাহলে কাউন্সিলর থাকবে কেন? তাই এবার তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায়ী কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, কেউ এলাকায় ঘরবাড়ি করলে, স্থানীয় কাউন্সিলর নিশ্চয়ই ঠিক করে দেবে না, সামগ্রী তাঁর থেকেই নিতে হবে। পাশাপাশি টাকা না দিলে ঘর করা যাবে না, তা হতে পারে না।
কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালন করতে হবে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাংসদ-বিধায়করা স্থানীয় কাজ করতে পারেন না। সেই কাজ করতে হয় কাউন্সিলর, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আর জেলা পরিষদের সদস্যদের। কোনও এলাকায় জল, রাস্তা, আলো না থাকলে এঁদেরই দেখতে হয়। এটা এঁরা ছাড়া আর কারও পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। এইসব কাজ যাঁরা দেখতে পারবেন না, তাঁরা কাউন্সিলর হবেন না, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।