KMC Election 2021: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা বিজেপির! কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপির আর্জি খারিজ
কলকাতা পুরভোটে (kolkata municipal corporation election 2021) কেন্দ্রীয় বাহিনী ( central force) আসবে না। এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে খারিজ হয়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP) দাবি। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফে বলা হয়েছে, ভুয়ো ভোটার রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে কলকাতা পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনকে।

বিজেপির আবেদন খারিজ
আদালতে বিজেপির তরফে আইনজীবী এসকে কাপুর অভিযোগ করেছিলেন সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, নিরাপত্তা চাইলেও দিতে পারছে না কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যে কারণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। সেই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল। যদিও আদালতের তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়, এব্যাপারে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সওয়ালে সন্তুষ্ট আদালত। আদালত মনে করছে, কলকাতা ও রাজ্য পুলিশই নির্বাচনের কাজে সাহায্য করতে পারবে। তাই এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই।

সব অভিযোগের তদন্ত করতে হবে
আদালতের তরফে বলা হয়েছে, নির্বাচন সংক্রান্ত সব অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। আদালতের তরফে বিজেপির চার প্রার্থীর অভিযোগের কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, এঁদের তিনজনের অভিযোগের বয়ান প্রায় একই। আদালতের তরফে মন্তব্য করে বলা হয়েছে সিপি অবিবেচক নন। তাঁর সব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে বলে মনে করছে আদালত। পাশাপাশি আদালত মনে করছে ১৩ নভেম্বর রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ কমিশনারের বৈঠকে ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তাই চূড়ান্ত। দরকারে সিপি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফের খতিয়ে দেখবেন। আদালতের তরফে এও বলা হয়েছে এজি এবং কমিশনের দায়িত্বে তারা ভরসা রাখছেন।

নির্বাচন কমিশনই নির্দেশিকা জারি করবে
বিজেপির ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আদালতে আবেদন করেছিলেন, বুথের নয় ওয়ার্ডের ভোটারকে পোলিং এজেন্ট করার অনুমতি দেওয়া হোক। এব্যাপারে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছেন, ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পোলিং এজেন্ট কারা হবেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করবে।

বুধবার এক মামলায় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টেই কলকাতার পুরভোট নিয়ে অপর এক মামলায় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। পুরভোটে কারচুপির অভিযোগ করে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। বুধবার সেই আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেভাবে চালু ছিল সেভাবেই চালু থাকছে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। পাশাপাশি বকেয় পুরভোট দ্রুত করানোরও নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। এব্যাপারে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে পরিকল্পনা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
গোয়ার বিজেপি সরকারের মন্ত্রী জড়িত যৌন কেলেঙ্কারিতে! কংগ্রেসের অভিযোগের পরেই ইস্তফা ঘিরে চাঞ্চল্য